হামজা-সমিত সোমদের অন্তর্ভুক্তিতে দেশের ফুটবল ফিরেছে চিরচেনা রূপে। উন্মাদনায় মেতেছে দেশের অগণিত ফুটবল পাগল মানুষ। আর এই উন্মাদনায় ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছে গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের মেগা আসর।
দেশের ফুটবলের ভিত মজবুত করতে তৃণমূল থেকে খেলোয়াড় তৈরির কাজ করতে চায় যুব এবং ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। যে কারণে গোল্ডকাপের মতো আরো অনেক টুর্নামেন্ট আয়োজনের পরিকল্পনা করছে মন্ত্রণালয়টি।
আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের ক্যালেন্ডারটি তৈরি করছি যেন এ ধরনের টুর্নামেন্টগুলো আরো বেশি বেশি আয়োজন করতে পারি। একই সাথে আমাদের লক্ষ্য থাকবে, এ টুর্নামেন্টগুলোকে আরো জনপ্রিয় করে তোলা, সেজন্য আরো বেশি মার্কেটিং এবং ব্র্যান্ডিং করা।’
ক্রীড়া উপদেষ্টা আরও জানান, দেশের ক্রীড়াকে সর্বত্র ছড়িয়ে দিতে এর বিকেন্দ্রীকরণের কথাও ভাবছে মন্ত্রণালয়। যদিও লক্ষ্যে পৌঁছাতে অনেক বাধার সম্মুখীন হতে হবে বলেও জানান তিনি।
আসিফ বলেন, ‘আমাদের স্টেডিয়ামগুলোর খুব নাজেহাল দশা। তো যখন আমরা খেলা আয়োজন করার উদ্যোগ নেব তখন কী সমস্যা বা কী কী সমাধান করতে হবে সে বিষয়গুলো আমাদের নজরে আসবে। বিকেন্দ্রীকরণ নিয়েও যাদের কনসার্ন আছে, তাদের ইতিবাচক স্বার্থকে আঘাত না করে কীভাবে সেটা করা যায় সেটা নিয়ে আমাদের আলোচনা চলমান থাকবে।’
এদিকে খেলোয়াড় তৈরিতে টুর্নামেন্টের পাশাপাশি খেলার উপযোগী মাঠের অপ্রতুলতাকে দায়ী করছেন খেলোয়াড়, কোচসহ অনেকেই।
রংপুর বিভাগের কোচ শামিম খান বলেন, ‘ছয় মাস লিগ চলে, ছয় মাস বাইরের খেলোয়াড়রা খেলে। আমার দলের খেলোয়াড় সব বাইরে পড়ে থাকে। যেখানে আমাদের খেলোয়াড়রা খেলতেই পারে না, সেখানে কীভাবে খেলোয়াড় বের হবে?’
রাজশাহী বিভাগের কোচ বলেন, ‘তারা যদি প্রতি বছর মেয়েদেরকে মাঠে খেলার সুযোগ করে দেয়, তাহলে আমার বিশ্বাস এরা একদিন বিশ্বে প্রতিনিধিত্ব করবে।’
জাতীয় এই আসর থেকে বাছাই করা সেরা ফুটবলাররাই প্রতিনিধিত্ব করবে লাল সবুজের জার্সিতে। যে কারণে এর মান বাড়ানোর দাবিও অনেকের।