
সংঘাত বন্ধে ব্যর্থ হলে রাশিয়ার ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার হুমকি ট্রাম্পের
রুশ বাহিনী ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় শিল্প এলাকায় ঢুকে পড়ে নিজেদের শক্ত অবস্থান জানান দেয়ার চেষ্টা করছে বলে স্বীকার করেছে ইউক্রেনীয় বাহিনী। অন্যদিকে, রাশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় রোস্তভ অন ডনে ড্রোন হামলা চালাচ্ছে ইউক্রেন। দুই দেশের সংঘাত বন্ধে ব্যর্থ হলে রাশিয়ার ওপর নতুন করে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপে আবারও হুমকি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এদিকে, ইউরোপীয় কোনো দেশ রাশিয়ার সঙ্গে শান্তি আলোচনার আয়োজক হতে পারে বলে আভাস দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।

ট্রাম্প-পুতিন বৈঠক: যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়নে আগ্রহী রাশিয়া
ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ নয় বরং শুক্রবার শান্তি আলোচনার মাধ্যমে রুশ প্রেসিডেন্ট ওয়াশিংটনের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্কের সূচনা করতে চান বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। তারা জোর দিয়ে বলছেন, ট্রাম্পের উদ্দেশ্য ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘাত বন্ধ করা হলেও আপাতত যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়ন নিয়েই মাথা ঘামাচ্ছেন পুতিন। বিশ্লেষকদের ধারণা, এ বৈঠকের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা থেকে বের হওয়ার যোগ খুঁজছে মস্কো। তবে, জার্মান গণমাধ্যম ডয়েচে ভেলের দাবি, পুতিনের উদ্দেশ্য সম্পর্ক স্পষ্ট ধারণা আছে ট্রাম্পের।

যুদ্ধ বন্ধে আগ্রহ নেই রাশিয়ার, নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রস্তুতি ইইউর
যুদ্ধ বন্ধে আগ্রহী নয় রাশিয়া। তাই ট্রাম্প-পুতিনের বৈঠক ঘিরে আশাবাদী নন জেলেনস্কি। এদিকে, মস্কোর বিরুদ্ধে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। অন্যদিকে ট্রাম্পের দাবি, পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের সময় ইউক্রেনের জন্য অঞ্চল পুনরুদ্ধারের চেষ্টা চালানো হবে।

শান্তি চুক্তির আলোচনা ছাড়াই শেষ হলো রাশিয়া-ইউক্রেনের বৈঠক
ট্রাম্পের ৫০ দিনের আল্টিমেটামের পরও শান্তি চুক্তির বিষয়ে তোড়জোড় নেই রাশিয়ার। বন্দিবিনিময় ও সেনাদের মরদেহ হস্তান্তরের মাধ্যমেই শেষ হলো রাশিয়া ও ইউক্রেনের বৈঠক। যেখানে যুদ্ধবিরতি বা যুদ্ধ বন্ধে কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি। তবে আগস্টের শেষ দিকে পুতিনকে জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক করার প্রস্তাব দেয় ইউক্রেন। জবাবে মস্কো বলেছে, কেবল চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য জেলেনস্কির মুখোমুখি হতে পারেন পুতিন। এদিকে, রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞার কর্তৃত্ব নিজের হাতে রাখতে চান ট্রাম্প।

ইউরোপে অস্ত্র সরবরাহ বাড়ছে; যুক্তরাষ্ট্রের দৌড় এগিয়ে
উত্তেজনা বাড়ায় মধ্যপ্রাচ্যকে পেছনে ফেলে এখন ইউরোপে বেড়েছে অস্ত্রের সরবরাহ। এক্ষেত্রে সবচেয়ে এগিয়ে ইউরোপের দেশ ইউক্রেন। আর এই অস্ত্র সরবরাহ করে দিন দিন আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়ে ওঠছে অস্ত্র তৈরি ও রপ্তানির দৌড়ে এগিয়ে থাকা যুক্তরাষ্ট্র। মধ্যপ্রাচ্য সংঘাত কিংবা ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ, বিশ্বের ক্ষমতাধর এই দেশটির অস্ত্র ব্যবহার হয় সবচেয়ে বেশি।

পাল্টাপাল্টি হামলায়ও থেমে নেই ইউক্রেন-রাশিয়ার কূটনীতি
রাশিয়ার সামরিক ঘাঁটিতে ইউক্রেনের নজিরবিহীন ড্রোন হামলার পেরিয়েছে ৩ দিন। অথচ এখনো টক অফ দ্য ওয়ার্ল্ড ‘অপারেশন স্পাইডার ওয়েব’। ক্রেমলিন বলছে, হামলার বিষয়ে রুশ প্রেসিডেন্টকে অবগত করা হয়েছে। বর্তমানে পুতিনের নির্দেশে চলছে তদন্ত। অন্যদিকে হোয়াইট হাউজের দাবি, হামলার আগে এ বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে কিছুই জানায়নি ইউক্রেন।

খনিজ চুক্তি সই, যুদ্ধবিরতিতে আস্থাহীন ইউক্রেন
ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধবিরতি নিয়ে সংশয় থাকলেও বিরল খনিজ চুক্তির ইস্যুতে কয়েকধাপ এগিয়ে গেছে যুক্তরাষ্ট্র। রাশিয়ার ওপর চাপ বাড়াতে পরিকল্পনা চলছে আর্থিক নিষেধাজ্ঞারও। রাজনৈতিক টানাপড়েন, দেশ বেদখলের আশঙ্কা আর হামলা আতঙ্কে সাধারণ ইউক্রেনীয়রা বলছেন, যুদ্ধ থামানোর ইস্যুতে কোনোভাবেই বিশ্বাস করতে পারছেন না কোনো পক্ষকেই। নতুন করে ইউক্রেনের বিভিন্ন স্থানে ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে রাশিয়া।

ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি আলোচনায় বসতে রাজি হলেন পুতিন
অবশেষে ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি আলোচনায় বসতে রাজি হয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সোমবার (২১ এপ্রিল) বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ক্রেমলিন। এদিকে বুধবার (২৩ এপ্রিল) লন্ডনে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের প্রতিনিধিদের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির আলোচনায় বসতে যাচ্ছে ইউক্রেনের প্রতিনিধি দল। যুদ্ধবিরতির আলোচনার মধ্যেই ইউক্রেনে লাগাতার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে রাশিয়া।

কৃষ্ণসাগরে হামলা বন্ধে রাজি ইউক্রেন-রাশিয়া, তবে চুক্তি এখনো অনিশ্চিত
অবশেষে কৃষ্ণসাগরে হামলা বন্ধে রাজি ইউক্রেন ও রাশিয়া। তবে চুক্তি সই এখনও অনিশ্চিত। জেলেনস্কিকে বিশ্বাস নেই উল্লেখ করে মস্কো বলছে, তাকে চুক্তির শর্ত মানতে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি নির্দেশ দিলে তবেই হবে চুক্তি সই। চুক্তিতে গুরুত্বপূর্ণ অনেক বিষয় এখনও অনির্ধারিত, অভিযোগ কিয়েভের।

ইউক্রেনের সাথে গুরুত্বপূর্ণ খনিজ চুক্তি সই হবে: ডোনাল্ড ট্রাম্প
কৃষ্ণসাগরে সামুদ্রিক অস্ত্রবিরতি নিয়ে আলোচনা হলো যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়ার ১২ ঘণ্টার ম্যারাথন বৈঠকে। শিগগিরই ইউক্রেনের সাথে গুরুত্বপূর্ণ খনিজ চুক্তি সই হবে বলেও জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আলোচনা চলছে ইউক্রেনের বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর মালিকানা যুক্তরাষ্ট্রকে হস্তান্তর নিয়েও। মাঝখানে ম্লান ইউক্রেন-রাশিয়ার তিন বছরের যুদ্ধে ইতি টানতে পূর্ণাঙ্গ অস্ত্রবিরতির আলোচনা।

ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধে ইতি টানতে চাপ বাড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র
ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধে ইতি টানতে চাপ বাড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। আগামী ২০ এপ্রিলের মধ্যে বড় পরিসরে অস্ত্রবিরতির চুক্তিতে পৌঁছানোর আশা মার্কিন প্রশাসনের, বলছে ব্লুমবার্গ। এর মধ্যেই, সৌদি আরবে রোববার (২৩ মার্চ) শুরু হয়েছে আলোচনা; আজ সোমবারও (২৪ মার্চ) রিয়াদে আলাদাভাবে কিয়েভ ও মস্কোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করবে ওয়াশিংটন।

দখলীকৃত ভূখণ্ড রাশিয়ার হাতে ছেড়ে দেয়া হবে না: জেলেনস্কি
ইউক্রেনের যে সব অঞ্চল আপাতত রাশিয়ার দখলে তা কোনোভাবেই মস্কোর হাতে ছেড়ে দেয়া হবে না বলে সাফ জানিয়েছেন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। শনিবার (১৫ মার্চ) ইউরোপের নেতাদের সাথে ভার্চুয়াল সামিটে অংশ নেয়ার পর জেলেনস্কি আরো বলেন, অস্ত্রবিরতি কার্যকরের আগে অঞ্চল ভাগাভাগির আলোচনায় বসবে না কিয়েভ। এদিকে, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলছেন, যুদ্ধবিরতি শুরু হলে ইউক্রেনের নিরাপত্তার প্রশ্নে জেলেনস্কির পাশে থাকবে ইউরোপ ও পশ্চিমা মিত্রশক্তি।