প্রথমে এলপি গ্যাস লিমিটেডের উত্তর পতেঙ্গার কার্যালয়ে অভিযানে যায় দুদক। এসময় প্রতিষ্ঠানটির প্রধানকে বিভিন্ন বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। বিশেষ করে সরকারি এলপি গ্যাস সিলিন্ডার বিপণনে নানা অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়। কীভাবে এসব সিলিন্ডার বিপণন হয়, সঙ্গে মাস ও বছরের বিপণনের হিসাবও চাওয়া হয়। অভিযোগ রয়েছে, সরকারি এসব গ্যাস কম মূল্যে বেচার কথা থাকলেও, সেটা হচ্ছে না। এ ছাড়া গ্যাস বিপণনেও রয়েছে অনিয়ম। ।
চট্টগ্রাম দুদকের সহকারী পরিচালক সাঈদ আলম বলেন, ‘অভিযোগ হলো, বাজারে যে এলপি গ্যাস পাচ্ছি সাড়ে ১২ কেজির, সেগুলো বেশি দামে কিনতে হচ্ছে আমাদের। ডিলাররা সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি করছেন। সবকিছু খতিয়ে দেখবো যে ডিলাররা ঠিকমতো সঠিক দামে সাপ্লাই দিচ্ছে কি না বা বাজারজাত করছে কি না। আমারা রেকর্ডগুলো চেক করবো।’
এলপি গ্যাস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ইউসুফ হোসাইন ভূঁইয়া বলেন, ‘মূলত আমরা হলো বটলিং কোম্পানি। আমরা বটলিং করি এবং ডিস্ট্রিবিউটর হিসেবেও কাজ করি। আমাদের দায়িত্ব হলো এটা রিফিল করে পদ্ধা, মেঘনা, যমুনা এবং এনসিএল- এই ৪টি কোম্পানিকে দেয়া। আমরা সেভাবে ঠিকমতো তাদের দিচ্ছি কি না, সেই বিষয়টা দুদক দেখতে আসছে। তাদের দেখিয়েছি, আমরা সেভাবেই সবার কাছে ডিস্ট্রিবিউট করছি।’