কুড়িগ্রামের বিভিন্ন সীমান্তে রোহিঙ্গাসহ ৪৪ জন আটক

ভূরুঙ্গামারী সীমান্তে ১৪ এবং রৌমারী সীমান্তে ৩০ জনকে আটক করা হয়
এখন জনপদে
0

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী ও রৌমারী উপজেলার বিভিন্ন সীমান্তে রোহিঙ্গাসহ ৪৪ জনকে আটক করেছে বিজিবি ও পুলিশ। ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিএসএফ তাদের আজ (বুধবার, ৭ মে) ভোররাতে বাংলাদেশে ‘পুশইন’ করেছে এমন তথ্যের সত্যতা যাচাই করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে বিজিবি সূত্র।

আটকদের মধ্যে ৮ জন বাংলাদেশি এবং অবশিষ্ট ৩৬ জন রোহিঙ্গা বলে ধারণা করে যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। এদের মধ্যে ভূরুঙ্গামারী সীমান্তে ১৪ জন এবং রৌমারী সীমান্তে ৩০ জনকে আটক করা হয়।

বিজিবি সূত্র জানিয়েছে, ভূরুঙ্গামারীর চর ভাওয়ালগুড়ি সীমান্ত সংলগ্ন বাজারের পাশে মসজিদে ১৪ জন অবস্থান করছিলেন। এদের মধ্যে ৮ জন নারী ও শিশু রয়েছে। তারা সবাই রোহিঙ্গা।

কুড়িগ্রামস্থ ২২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটকরা দাবি করেছেন, তারা তিন মাস আগে মায়ানমার থেকে উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্পে আসেন। এখানে একটি দালালচক্র ভালোভাবে বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখিয়ে তাদের অন্য দেশে নিয়ে যাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে মাথাপিছু ৪০ হাজার টাকা করে নেয়। এরপর তাদের নিয়ে মাইক্রো বাসযোগে গত সোমবার রওনা দেয়। এরপর বুধবার ভোররাতে চর ভাওয়ালগুড়ি বাজারের পাশের মসজিদে রেখে সীমান্ত পার হওয়ার জন্য অন্য গাড়ি আনার কথা বলে দালালরা সটকে পড়ে। এ ছাড়া এদের ‘পুশইন’ করা হয়েছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

এদিকে রৌমারী থানার ওসি (তদন্ত) নন্দলাল চৌধুরী নিশ্চিত করেছেন, পুলিশ ঘোরাঘুরি সময় কর্তিমারী বাজার সংলগ্ন সড়ক থেকে ‘পুশইনকৃত’ দুই জন বাংলাদেশি এবং একজন রোহিঙ্গাসহ ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ।

এ ছাড়া রৌমারী বাজার ও তার আশপাশের এলাকা থেকে ২৭ জনকে আটক করেছে বিজিবি। এদের বর্তমানে রৌমারী সদরে অবস্থিত বিজিবির কোম্পানি সদর দপ্তরে রাখা হয়েছে।

জামালপুরস্থ ৩৫ বিজিবি ব্যাটালিয়ন সূত্র জানিয়েছেন, আটকদের জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রকৃত তথ্য সংগ্রহের কার্যক্রম চলছে।

এনএইচ