পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গাজীপুরা এলাকার স্যাটার্ন টেক্সটাইল লিমিটেডের ঝুট নামানোকে কেন্দ্র করে মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব হালিম মোল্লা ও ৫০ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী হুমায়ুনের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল।
চুক্তিপত্র অনুযায়ী শনিবার সকালে বিএনপি নেতা হুমায়ূন কারখানা থেকে ঝুট নিতে গেলে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা হালিম মোল্লার অনুসারীরা দেশিয় অস্ত্র নিয়ে ঝুট নিতে বাঁধা দেয়।
এসময় উভয় গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হলে অন্তত ১০ থেকে ১৫টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। খবর পেয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে আসলে বেলা ২টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে।
এ ঘটনার পর বিএনপি নেতা কাজী হুমায়ুন বলেন, ‘আমার প্রতিষ্ঠানের নামে কারখানার সঙ্গে চুক্তিপত্র আছে। তবুও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব হালিম মোল্লা ব্যবসা নিতে এ হামলা ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে।’
তবে গাজীপুর মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব হালিম মোল্লার সঙ্গে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এর আগে গত ২৩ মে একই প্রতিষ্ঠানের ঝুট নিয়ে এ দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পালটা ধাওয়া ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে দুই পুলিশ সদস্যসহ আটজন আহত হয়। ওই ঘটনায় টঙ্গী পশ্চিম থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে।
টঙ্গী পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসকান্দার হাবিবুর রহমান বলেন, ‘ঝুট ব্যবসার নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে বিএনপি নেতা কাজী হুমায়ুনের গ্রুপ ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব হালিম মোল্লা গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ১০ থেকে ১২টি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’