পুলিশি লাঠিচার্জ ও ছাত্রদের ওপর হামলার প্রতিবাদে আজ দুপুর থেকে চট্টগ্রাম নগরের খুলশিতে ডিআইজি অফিসের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে আন্দোলনকারীরা। দাবি আদায়ে ডিআইজির সঙ্গে দেখা করতে চাইলেও তিনি দেখা না করায় আন্দোলনকারীরা খুলশির গুরুত্বপূর্ণ সড়কে ব্যারিকেড দেন। এতে দুর্ভোগে পড়েন শত শত মানুষ, আটকে পড়ে অফিসগামী কর্মজীবী ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা।
আন্দোলনকারীরা জানান, পটিয়া থানার পুলিশের হামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের বিচার নিশ্চিত না করলে তারা রাজপথ ছাড়বেন না। ডিআইজির আশ্বাসে তারা বৈঠকে বসতে চাইলে তিনি গণমাধ্যমের সামনে কিছু বলতে অস্বীকৃতি জানান। এরপর বিক্ষোভকারীরা সরাসরি সড়কে অবস্থান নেন এবং ওসি অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।
গণতান্ত্রিক ছাত্রসংদের যুগ্ম আহ্বায়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি বলেন, ‘আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই যদি আজকে আবারও হামলা করার দুঃসাহস দেখায় পুলিশ সদস্যরা। তাহলে আমরা সেটার প্রতিরোধ গড়ে তুলবো জুলাইয়ের মতো।’
তবে শিক্ষার্থীদের এ আন্দোলন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে পুলিশ কৃর্তপক্ষ। চট্টগ্রামের ডিআইজি আহসান হাবীব পলাশ জানান, কথায় কথায় আন্দোলন এবং অপসারণের দাবী কতটা যৌক্তিক তা বিবেচনা করতে হবে। এছাড়া থানার মতো স্পর্শকাতর স্থানে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটলে পুলিশের কী ভূমিকা নেয়া উচিত তাও জানতে চান তিনি।
আহসান হাবীব পলাশ বলেন, ‘ঘটনার সময়ে ওসি যেসব ব্যবস্থা নিয়েছে সেগুলো যৌক্তিক কি না? কতটুকু যৌক্তিক এটা বুঝতে হবে। থানার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ওসির কাজ।’
ব্যারিকেডের কারণে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার, চট্টগ্রাম-রাঙামাটি, চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়িসহ বিভিন্ন রুটে যান চলাচল ব্যাহত হয়। দেখা দেয় তীব্র যানজট, সাধারণ মানুষকে পায়ে হেঁটে গন্তব্যে যেতে দেখা যায়।