জানা গেছে, তারা সবাই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের শিক্ষার্থী। পরীক্ষা শেষে কক্সবাজারে ঘুরতে গিয়েছিলেন। সহপাঠী ফারহান জানান, দুই-তিনটি বড় ঢেউয়ে ওদের ভেসে যেতে দেখি। চোখের সামনেই আলাদা হয়ে যায় তিনজন।
কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক মো. তানহারুল ইসলাম বলেন, ‘খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছাই। তিনজন নিখোঁজ ছিলেন, একজনের মরদেহ উদ্ধার করা গেছে। বাকি দুইজনকে খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।’
উদ্ধারে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস, কোস্টগার্ড, ট্যুরিস্ট পুলিশ ও বীচ কর্মীদের একটি সমন্বিত দল। তবে দুপুর ১২টার আগ পর্যন্ত সমুদ্র অতিমাত্রায় উত্তাল থাকায় উদ্ধার তৎপরতা শুরু হয় ভাটার সময়।
আরো পড়ুন:
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের দুর্ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও পরিবারে। মৃত সাবাবের বাড়ি ঢাকার মিরপুরে। নিখোঁজ আসিফ ও অরিত্র বগুড়ার বাসিন্দা।
কক্সবাজার রিজিওন ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ বলেন, ‘আমরা নিখোঁজদের খুঁজে বের করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। পাশাপাশি সবাইকে সমুদ্রে নামার আগে সতর্কতা মানার অনুরোধ জানাই।’
উল্লেখ্য, কক্সবাজার সৈকতের মাত্র ৫ কিলোমিটার এলাকায় উদ্ধার ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে। বাকি ১১৫ কিলোমিটার পুরোপুরি অরক্ষিত। স্থানীয়রা বলছেন, পর্যটকদের নিরাপত্তায় রিসোর্ট ও হোটেলগুলোর ভূমিকা আরও জোরালো হওয়া জরুরি।