আজ (বুধবার, ১৬ জুলাই) দুপুর দেড়টার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে। সমাবেশ উপলক্ষে মাঠে রাখা চেয়ার ও টানানো প্লাকার্ড ভাঙচুর করে ছিঁড়ে ফেলা হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ভাঙচুরের পাশাপাশি ঘটনাস্থলে বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে।
এনসিপির ‘জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে গোপালগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। কোটালিপাড়া টু গোপালগঞ্জ সড়কের একাধিক স্থানে গাছ ফেলে রাস্তা অবরোধ করা হয়। এতে ভোজেরগাতি বাজার, কাঠি বাজারসহ পুরো রুটে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
এর আগে, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সদর উপজেলার খাটিয়াগড় চরপাড়া এলাকায় পুলিশের দুটি গাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এতে পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হন। আহতদের গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
এছাড়া বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সদর উপজেলার পংসুর এলাকায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এম রকিবুল হাসানের গাড়িতেও হামলা চালানো হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি মির মো. সাজেদুর রহমান।
তিনি জানান, ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান পিয়ালের সমর্থকেরা এই হামলার সঙ্গে জড়িত। এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতাদের পদযাত্রা বানচালের জন্যই এসব ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
আরো পড়ুন:
ঘটনার পর সকাল ১০টার দিকে সেনাবাহিনী, র্যাব ও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর নিশ্চিত হওয়া যায়নি, তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে।