শেরপুর-ময়মনসিংহ রুটে অটোরিকশার বেপরোয়া গতিতে বাড়ছে দুর্ঘটনা

অটোরিকশার বেপরোয়া গতিতে বাড়ছে দুর্ঘটনা
এখন জনপদে
0

শেরপুর-ময়মনসিংহ রুটে সিএনজি চালিত অটোরিকশার বেপরোয়া গতিতে প্রায়ই সড়কে ঘটছে দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি। সড়কে নিয়ম না মানা, চালকদের অসতর্কতা আর অদক্ষতা দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ বলছেন যাত্রীরা। দুর্ঘটনা রোধে দ্রুতই শেরপুর-ময়মনসিংহ রুটে মিনিবাস চালুর দাবি যাত্রীদের।

গেল বছরের ১৩ নভেম্বর শেরপুরের নকলায় পাইস্কা বাইপাস মোড়ে সিএনজি অটোরিকশার সঙ্গে পিকআপ ভ্যানের সংঘর্ষে প্রাণ হারায় অটোরকশার চার যাত্রী। এ ঘটনার একমাস পর শেরপুরের ভাতশালায় সিএনজি অটোরিকশার সঙ্গে ঢাকাগামী বাসের সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারায় ছয় যাত্রী।

শেরপুর থেকে ময়মনসিংহের দূরত্ব প্রায় ৬৮ কিলোমিটার। কম দূরত্বের কারণে ঢাকাগামী কোনো বাস যাত্রীদের না নেয়ায়, ঝুঁকি নিয়েই সিএনজি অটোরিকশা দিয়ে নকলা, ফুলপুরসহ ময়মনসিংহে যাতায়াত করেন যাত্রীরা। এতেই ঘটছে দুর্ঘটনা।

যাত্রীরা বলছেন ফিটনেসবিহীন যান , চালকদের অদক্ষতা ও ট্রাফিক আইন না মেনে সিএনজি অটোরিকশা চালানোই দুর্ঘটনার মূল কারণ। এ রুটে মিনিবাস চালুর দাবি তাদের। তবে সিএনজি চালকদের অভিযোগ, বড় গাড়িগুলো সাইড না দেয়াতেই ঘটছে দুর্ঘটনা। এছাড়া ইচ্ছে করেই অনেক গাড়ি চাপা দেয় বলে অভিযোগ তাদের।

যাত্রীদের মধ্যে একজন বলেন, ‘আমাদের চলাচলের জন্য সিএনজি ছাড়া কোনো উপায় নেই। কারণ স্বল্প দূরত্বের জন্য বাস আমাদের নিতে চায় না। আমাদের রাস্তাগুলো আগের রাস্তাই আছে। কিন্তু গাড়িতো অনেক বেড়েছে। সিএনজি চালকদের প্রশিক্ষণ দেয়া দরকার নাহলে তারা যেন মিনি বাসের ব্যবস্থা করে।’

একজন সিএনজি চালক বলেন, ‘বড়বড় গাড়িগুলো আমাদের সিএনজিকে গাড়ি মনে করে না। যার জন্য বড় গাড়িগুলো একটু সুযোগ পেলেই মাথা ঢুকে দিয়ে চাড় দিয়ে চলে যায়।’

আরও পড়ুন:

অবৈধ চালক ও সিএনজি অটোরিকশার বিরুদ্ধে অভিযান চলমান রয়েছে বলে জানান জেলা পুলিশের এ কর্মকর্তা। মহাসড়কে সিএনজি অটোরিকশা চলাচলের কোনো নিয়ম নেই। তবুও আইন না মেনে যারা গাড়ি চালাচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানায় বিআরটিএ।

শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান ভূঞা বলেন, ‘শেরপুর জেলা পুলিমেল পক্ষ থেকে যেন অনিবন্ধিত গাড়িগুলো না চলে তার নজরদারি আছে আমাদের। নানাসময় আমরা তাদের মহাসড়কে না ওঠার জন্য নানাভাবে উদ্বুদ্ধ করে আসছি। বিভিন্ন সময় আমরা মামলা এবং জরিমানা করে তাদের মিনিমাইজ করার চেষ্টা করছি।’

শেরপুর বিআরটিএর সহকারী পরিচালক জি এম নাদির হোসেন বলেন, ‘সিএনজি তো হাইওয়েতে চলা নিষেধ। সারাদেশে যে নিয়ম এখানেও একই। হাইওয়েতে চলাচল নিষেধ এখানে। তারপরও কিছুকিছু জায়গায় দেখা যায় চলছে। এর জন্য আমরা পুলিশ, জেলা প্রশাসনের সমন্বয়ে মাঝে মাঝে মোবাইল কোর্ট করি।’

বিআরটিএর পরিসংখ্যান বলছে গত এক বছরে শেরপুর সড়ক দুর্ঘটনায় ৩০ জনের বেশি মানুষ মারা গেছে।

এসএস