প্রযুক্তির উন্নয়ন ও শিল্পের চাহিদা পূরণে দেশে গড়ে উঠছে নানা ধরনের শিল্প কারখানা। অবকাঠামো নির্মাণে যুক্ত হচ্ছে নিত্য নতুন উপাদান। এক্ষেত্রে রড, সিমেন্ট, ইস্পাত, জাহাজ নির্মাণ, তেল পরিশোধনসহ বিভিন্ন ধরনের শিল্প কারখানা স্থাপনে ও অবকাঠামো উন্নয়নে লাগে ভারী যন্ত্রপাতি। যা আমদানি হয় বিদেশ থেকে।
অথচ চট্টগ্রাম বন্দরে ভারী কার্গো হ্যান্ডলিংয়ের জন্য নেই কোনো বিশেষায়িত জেটি। বর্তমানে নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনালের একটি জেটিতে ভারী যন্ত্রপাতি খালাস করা হলেও সেটি মূলত কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের জন্য নির্মিত। তাই খালাসের আগে বসাতে হয় বিশেষ প্লেট। এছাড়া একশো টনের ওপরে কোনো কার্গো আসলে সেটি জেটিতে খালাস করা যায় না। এজন্য জেটির বাইরে ও বহির্নোঙ্গরে বিশেষ ব্যবস্থায় সমতল বার্জে ভারী যন্ত্রপাতি খালাস করতে হয়। যা শুধু ঝুঁকিপূর্ণ নয় ব্যয়বহুলও বটে। এ সংকট নিরসনে দীর্ঘ দিন ধরে হেভি লিফট কার্গো জেটি নির্মাণের দাবি ছিলো বন্দর ব্যবহারকারীদের। অবশেষে পূরণ হচ্ছে সেই দাবি। এ বিশেষায়িত হেভি লিফট কার্গো জেটি প্রতি বর্গমিটারে পাঁচ টন ভার বহনের সক্ষম।
আরও পড়ুন:
এমএস সি শিপিং হেড অফ অপারেশন্স আজমীর হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘প্রজেক্ট কার্গো বিশেষ করে যেগুলো আসে সেগুলো ওভার সাইট ডেলিভারি দিয়ে সাইটে প্রেরণ করতে হচ্ছে। এটি আমাদের জন্য অনেক পজেটিভ একটি সাইন। আমরা এখন হেভি ওয়েট কার্গো নিয়ে আসতে পারবো।’
ভারী কার্গোর বিশেষায়িত জেটি না থাকায় বর্তমানে অনেক যন্ত্রপাতি খুলে আলাদাভাবে আনতে হয়। বিশেষায়িত জেটি নির্মিত হলে থাকবে না এ সমস্যা। পতেঙ্গার লালদিয়ায় নির্মিত হবে ২৪০ মিটার দৈর্ঘ্যের এ জেটি। যেখানে প্রকল্পের ভারী কার্গো নিয়েও ভিড়তে পারবে বড় জাহাজ। যা শিল্পায়নের সহায়ক হবে বলে মনে করছেন বন্দর ব্যবহারকারীরা।
চট্টগ্রাম কাস্টম এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী মাহমুদ ইমাম বিলু বলেন, ‘আমাদের কোনো যন্ত্রপাতি নিয়ে আসতে আলাদাভাবে আনতে হয়। হেভি লিফট ক্রেন থাকলে একটি যন্ত্র একসঙ্গে নিয়ে আসা সম্ভব হবে।’
আনুসঙ্গিক সুবিধাসহ হেভি লিফট কার্গো জেটি নির্মাণে সম্প্রতি নৌবাহিনীর সঙ্গে চুক্তি করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। এ জেটি নির্মাণে ব্যয় হবে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা।