বিদ্যালয় ঘুরে দেখা গেছে, মাঠে পানি জমে থাকায় শিক্ষার্থীদের চলাচল, শরীরচর্চা, জাতীয় সংগীত পরিবেশন, খেলাধুলা এবং সমাবেশ কার্যক্রম একেবারেই থমকে গেছে। এমনকি মাঝে মাঝে শ্রেণিকক্ষেও পানি উঠে যায়। পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় বিদ্যালয় মাঠটি যেন একটি বিশাল জলাশয়ে পরিণত হয়েছে।
বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, অল্প বৃষ্টিতেই স্কুল মাঠে পানি জমে যায়। শ্রেণিকক্ষে যাওয়া কিংবা বাইরে বের হওয়া কষ্টকর হয়ে পড়ে। পচা ঘাস-আগাছা আর মশার কারণে পরিবেশ দুর্গন্ধময় হয়ে উঠছে। এতে অনেকে পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। তারা দ্রুত মাঠটি মাটি ভরাট ও সংস্কারের দাবি জানায়।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামরুল হাসান বলেন, ‘স্কুল মাঠে পানি জমে থাকায় বিদ্যালয়টিতে দুই দিনের ছুটি ঘোষণা করেছে ম্যানেজিং কমিটি। পানি জমে থাকায় শিক্ষার্থীদের মানসিক ও শারীরিক বিকাশে প্রভাব পড়ছে। আমরা বারবার সংশ্লিষ্ট দপ্তরে যোগাযোগ করেও কোনো স্থায়ী সমাধান পাইনি। তবে আশা করি, দ্রুত এ সমস্যার সমাধানে সংশ্লিষ্টরা কার্যকর পদক্ষেপ নিবে।’
এ বিষয়ে দৌলতপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ফারুক আহমেদ বলেন, ‘বিদ্যালয় মাঠে পানি জমে যাওয়ায় পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। এজন্য স্কুলটিকে দুদিন ছুটি দিয়েছে ম্যানেজিং কমিটি। বিষয়টি সমাধানে আমরা কাজ করছি।’
দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুল হাই সিদ্দিকী বলেন, ‘বিষয়টি জানালে প্রয়োজনীয় খোঁজখবর নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বিদ্যালয় মাঠ সংস্কারের উদ্যোগ না নেওয়া হলে আগামীতে আরও দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা সৃষ্টি হবে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। তারা চায়, স্থায়ী সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করে শিক্ষার পরিবেশ স্বাভাবিক রাখা হোক।