চট্টগ্রামে জমে উঠেছে কোরবানির পশু বেচাকেনা, দাম বাড়বে প্রায় ১০ শতাংশ

চট্টগ্রাম
খামার থেকেই চলছে কোরবানির পশু কেনা
কৃষি , মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ
এখন জনপদে
0

ঈদুল আজহার বাকি আর মাত্র ২০ দিন, এরইমধ্যে চট্টগ্রামের খামারগুলোতে জমে উঠেছে কোরবানির পশু বেচাকেনা। শহরের বাজার এড়িয়ে ক্রেতারা ভিড় জমাচ্ছেন খামারগুলোতে। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের হিসেবে, গেল বছরের তুলনায় এবার জেলায় কোরবানিদাতা বেড়েছে ৬৭ হাজার। সে তুলনায় পশুর ঘাটতি রয়েছে প্রায় ৩৫ হাজার। এদিকে খামারিরা বলছেন, উৎপাদন খরচ বাড়ায় এবার পশুর দাম বাড়বে প্রায় ১০ শতাংশ।

পবিত্র ঈদুল আজহার বাকি আর মাত্র কয়েকদিন। ঈদ ঘিরে এরইমধ্যে ব্যস্ততা বেড়েছে চট্টগ্রামের পশুর খামারগুলোতে। ভাল দামের আশায় নিজের শখের গরুগুলোকে আকর্ষণীয় করে তুলতে ব্যস্ত খামারিরা।

ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে পশু বেচা বিক্রি। ঝামেলা এড়াতে আগেভাগেই খামারে এসে গরু দেখছেন অনেকে। পছন্দ হলে বুকিং দিয়ে রাখছেন কেউ কেউ।

একজন জানান, রিকোয়েস্ট করতেছি যাতে একটু কমে দিয়ে দেয়। ওনাদের খরচ বেশি বলছে। ওইজন্য একটু সময় নিচ্ছে।

২০১৫ সালে চট্টগ্রামে পশু কোরবানি হয় ৫ লাখ। ২০২৪ সালে সে সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৮ লাখ ১৯ হাজারে। অন্যদিকে, এবার সরবরাহ কিছুটা কম থাকায় স্থানীয়ভাবে প্রস্তুত করা হয়েছে ৮ লাখ ৬০ হাজার গবাদি পশু। ঘাটতি রয়েছে প্রায় ৩৫ হাজার।

জেলা প্রাণি সম্পদ দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী চট্টগ্রামে ছোট বড় মিলিয়ে খামার রয়েছে ১৪ হাজার ২৫৮টি। এছাড়া অস্থায়ীভাবে গড়ে উঠেছে অসংখ্য খামার। যেখানে তিন পার্বত্য জেলাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে কোরবানির পশু সংগ্রহ করছেন খামারিরা। ফলে ঘাটতি পূরণে কোন সমস্যা হবেনা বলছেন প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা।

চট্টগ্রাম ডবলমুরিংয়ের উপ-সহকারী প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা মতিউর রহমান বলেন, ‘কাঁচা ঘাসের সরবরাহ এখানে কম। অনেককে কাঁচা ঘাস কিনে খাওয়াতে হয়। যাদের কাঁচা ঘাসের প্লট আছে তারাই ভালো করছে। চারণভূমিসহ আরো বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা না থাকায় এখানে গরুর খামার কিছুটা কমে গেছে।’

চট্টগ্রামের জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আলমগীর বলেন, ‘কুষ্টিয়া, পার্শ্ববর্তী বান্দরবান, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি এসব এলাকা থেকে গরু আসে। ঘাটতি চাহিদা আমরা এভাবে ফিল আপ করে থাকি।’

গেল বছরের চেয়ে এ বছর কোরবানির পশুর দাম ১০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। গো খাদ্যের দাম অস্বাভাবিক হারে বাড়ায় এবং পশু মোটাতাজা করতে বেশি অর্থ খরচ হওয়ায় এবার দাম কিছুটা বেশি বলছেন খামারিরা।

গেল বছরের তুলনায় এবার চট্টগ্রামে কোরবানিদাতা বেড়েছে ৬৭ হাজার ২৯৭ জন।

এএইচ