লুৎফা বেগম বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার কাষ্টসাগরা গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। জথী এ মামলার সাত নম্বর আসামি। পরে টাঙ্গাইল সদর থানার পুলিশের কাছে আসামিকে হস্তান্তর করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘গত ২৫ ফেব্রুয়ারি সুবর্ণা আক্তারের সঙ্গে তার স্বামী আয়নাল হকের পারিবারিকভাবে বিবাহ হয়। বিবাহের পর আয়নাল হক ও তার পরিবারের লোকজন মোটরসাইকেল বাবদ পাঁচ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে আসছিল। সুবর্ণার পরিবার পাঁচ লাখ টাকা না দেয়ায় তার স্বামী ও পরিবারের লোকজন শারীরিকভাবে অত্যাচার করতে থাকে। একপর্যায়ে সুবর্ণার পরিবার অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে দুই লাখ টাকা দিতে বাধ্য হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘পরে আরও তিন লাখ টাকা যৌতুকের জন্য অত্যাচারের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। এ অবস্থায় গত ৮ মে তিন লাখ টাকা না পেয়ে সুবর্ণা আক্তারকে মারপিট করে হত্যা করে। পরে ঘরের ধর্ণার সাথে গলায় শাড়ির আচল পেঁচিয়ে ঝুলয়ে রাখে। এ ঘটনায় ভিকটিমের দাদী রুনা বেগম (৫৬) বাদি হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় একটি যৌতুকের জন্য হত্যা মামলা দায়ের করে।’