চট্টগ্রামের অলিগলিতে পচা চামড়া, কাদের গাফিলতি?

চট্টগ্রাম
পচা চামড়া অপসারণ করা হচ্ছে
এখন জনপদে
অর্থনীতি
0

সড়কে-অলিগলিতে পচে এবার কোরবানির পশুর চামড়া নষ্টের অভিযোগ রয়েছে চট্টগ্রামে। যদিও লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে এবার বেশি সংগ্রহের দাবি আড়তদার সমিতির। তবে কাদের গাফিলতিতে চামড়া নষ্ট হলো, সেটিই এখন বড় প্রশ্ন।

২০১৯ সালের পর আবারো চট্টগ্রামের রাস্তায় গড়াগড়ি খেলো পশুর চামড়া। ভালো দাম না পাওয়ায় এবার কোরবানির চামড়া কেউ ফেলেছেন নদীতে, কেউ আবার মাটিতে পুঁতে ফেলেছেন। ঈদের পরদিন পে লোডার দিয়ে অলিগলি, সড়কে পরে থাকা পচা চামড়া অপসারণ করে সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্নকর্মীরা।

এমন চিত্রের বিপরীতে চামড়া ব্যবসায়ীদের দাবি, এবছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি চামড়া সংগ্রহ করেছেন তারা। বলছেন, তিন লাখ ৬০ হাজার পিস চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে সংগ্রহ হয়েছে ৪ লাখ ৭ হাজার পিস। এর মধ্যে মহানগর এবং উপজেলা মিলিয়ে গরুর চামড়া সংগ্রহ হয়েছে ৩ লাখ ৪৪ হাজার ৭৫০ পিস। মহিষের চামড়া ১০ হাজার ৫০০ এবং ছাগলের ৫১ হাজার ৬০০ পিস চামড়া সংগ্রহ করা হয়েছে।

বৃহত্তর চট্টগ্রাম কাঁচা চামড়া আড়তদার সমিতির সাবেক সভাপতি মোসলেম উদ্দীন বলেন, ‘রাত ৩টার সময় নষ্ট হওয়া চামড়াগুলো কিছু উপজেলা থেকে এখানে ফেলে দিয়ে সরকারেরও ভাবমূর্তি নষ্ট করতেছে; ব্যবসায়ীদেরও ভাবমূর্তি নষ্ট করতেছে। আসলে সব মিলিয়ে যদি দেখা যায়, জিরো পারসেন্টের মতো চামড়া নষ্ট হয়েছে।’

মৌসুমি ব্যবসায়ীদের দাবি, সরকার নির্ধারিত দামে চামড়া কেনেনি আড়তদাররা। আর আড়তদাররা বলছেন, শুরুতে বেশি দামে কেনা হয়েছে। তবে শেষের দিকে নিম্ন মানের চামড়া চলে আসায় কিছুটা কমেছে দাম।

এদিকে, সরকার এবার চামড়ার ন্যায্য দাম নিশ্চিতে এবং জাতীয় এ সম্পদ রক্ষায় মাদ্রাসা পর্যায়ে বিনামূল্যে লবণ সরবরাহ করেছে। পরামর্শ ছিল মাদ্রাসাগুলোতেই যেন চামড়া লবণজাত করা হয়। এজন্য চট্টগ্রামের ২৯৯টি মাদ্রাসার মধ্যে ২২৩টি মাদ্রাসায় ৬৪০ টন লবণ বিনামূল্যে সরবরাহ করা হয়। আবার কোনো কোনো মাদ্রাসা নিজ উদ্যোগে লবণ দিয়েছে চামড়ায়।

বৃহত্তর চট্টগ্রাম কাঁচা চামড়া আড়তদার সমিতির সভাপতি মাহবুব আলম বলেন, ‘মাদ্রাসা কিছু চামড়ায় লবণ দিয়ে দিলে সমস্যা হতো না। তারা লবণ ফ্রিতে পেয়েছে, চামড়াও পেয়েছে। অন্যান্য মাদ্রাসায় দেখেছি, লবণ পেয়ে তারা বিক্রি করে দিয়েছে; চামড়াও বিক্রি করে দিয়েছে। এগুলো এনে আমাদের একটা সমস্যায় ফেলেছে।’

সংগৃহীত চামড়া ট্যানারি মালিকরা যেন দ্রুত ও সরকার নির্ধারিত দামে ক্রয় করে, সেজন্য প্রশাসনের সহযোগিতা চাইছেন আড়তদাররা।

এনএইচ