নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল বন্দরের সবচেয়ে বড় কনটেইনার টার্মিনাল, বন্দরের রাজস্ব আয়ের প্রায় অর্ধেক আসে এ টার্মিনাল থেকে।
গত ১৭ বছর এনসিটি পরিচালনা করছে দেশিয় অপারেটর সাইফপাওয়ারটেক লিমিটেড। যদিও অপারেটর নিয়োগ নিয়ে ছিল নানা অনিয়মের অভিযোগ। গত কয়েক বছর ধরে কোনো টেন্ডার ছাড়া সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে এনসিটি পরিচালনা করছে সাইফ পাওয়ারটেক।
অবশেষে পরিবর্তন হলো অপারেটর। রোববার (৬ জুলাই) মধ্যরাত থেকে এনসিটি পরিচালনার দায়িত্ব বুঝে নেয় নৌ-বাহিনী পরিচালিত প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম ড্রাইডক লিমিটেড।
ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন এলেও সাইফ পাওয়ারটেকের জনবলেই পরিচালিত হবে এনসিটি। পরিচালনা পদ্ধতি বা প্রযুক্তিতেও নেই কোনো পরিবর্তন।
চট্টগ্রাম বন্দর কতৃর্পক্ষের সচিব মো ওমর ফারুক বলেন, ‘আমাদের কোনো সিস্টেমেই কোনো পরিবর্তন আসেনি, কার্যপ্রক্রিয়ায় পরিবর্তন আসেনি, কম্পিউটার সিস্টেমে কোনো পরিবর্তন আসেনি, সবকিছুই যথারীতি চলছে এবং কোনো অসুবিধাও নেই।’
তবে সাইফ পাওয়ারটেকের একচ্ছত্র আধিপত্যের অবসান হওয়ায় খুশি বন্দর ব্যবহারকারীরা। তবে শ্রমিক সংকট, পরিবহন ধর্মঘট বা অনাকাক্ষিত ঘটনায় পণ্য ডেলিভারি বা রপ্তানি যেন অনিশ্চয়তায় না পড়ে সেটি নিশ্চিত করার আহ্বান জানান তারা।
চট্টগ্রাম কাস্টম এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. শওকত আলী বলেন, ‘দায়িত্বে অনেকদিন থাকলে যেটা হত যে, আমরা শ্রমিক পেতাম না ঠিকমতো, শ্রমিকদের অনৈতিক বখশিশ দিতে হতো। আসল কাজ হচ্ছে, ব্যবস্থাপনা এবং শ্রমিক। এটা যদি ঠিক থাকে তাহলে আমরা সফলভাবে কাজ করতে পারবো বলে আমি মনে করি।’
অন্যদিকে শিপিং এজেন্টদের দাবি, পরিচালনায় যেই আসুক টার্মিনালের পারফরম্যান্স বা অপারেশন যেন ঠিক থাকে।
বাংলাদেশ শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ মো. আরিফ বলেন, ‘কাজের ধারা যেন নিম্নমুখী না হয়, আমাদের এক্সপোর্টাররা যেন তাদের মাদার কানেকশন থেকে বঞ্চিত না হয়, প্রিন্সিপালরা যেন অনিশ্চয়তায় না ভোগে, তাহলে আশা করি ড্রাইডক এবং নৌ-বাহিনীর মাধ্যমে আমরা ভালো কিছু পাবো।’
নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনালে ৫টি জেটিতে বছরে প্রায় ১৩ লাখ টিইইউস কনটেইনার হ্যান্ডলিং হয়। সংযুক্ত আরব আমিরাতের ডিপি ওয়ার্ল্ডকে পরিচালনার ভার দেয়ার আগ পর্যন্ত চট্টগ্রাম ড্রাইডক এনসিটি চালাবে।