টানা বৃষ্টিতে ভোগান্তির এমন চিত্র ফেনী শহরের শহীদ শহিদুল্লাহ কায়সার সড়ক এলাকার। গত দু'দিনের টানা বৃষ্টিতে ফেনী শহরের বেশিরভাগ এলাকায় দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। পরিস্থিতি বিবেচনায় ফুলগাজী উপজেলার ৯৯টি এবং পরশুরাম উপজেলায় ৩২টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এরইমধ্যে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে ভিড় করছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা বলছেন, পৌর কর্তৃপক্ষ বা পানি উন্নয়ন বোর্ড কেউই ২০২৪ এর ভয়াবহ বন্যার অভিজ্ঞতা কাজে লাগায়নি। খাল দখলমুক্ত করণে ব্যর্থতা ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার সেই আগের বেহাল দশায় ফের ডুবেছে নগর।
স্থানীয়রা বলেন, ২০২৪ এর বন্যা থেকে প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড কেউই শিক্ষা নিতে পারেনি। প্রশাসন ঠিকভাবে নজরদারি করলে সামান্য বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা তৈরি হতো না। বাঁধগুলো নির্মাণ করা হয়নি, ড্রেনেজ ব্যবস্থারও কোন উন্নতি করা হয়নি।
ফেনীতে মঙ্গলবার (৮ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ৪৪১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে যা এ মৌসুমে এখন পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত। যার প্রভাবে সীমান্তবর্তী মুহুরি নদীর ৬ স্থানে বাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এছাড়াও বাড়ছে কহুয়া ও সিলোনীয়া নদীর পানি।
এদিকে টানা বৃষ্টির কারণে শহরের এসএসকে সড়ক, রামপুর শাহীন একাডেমী এলাকা, পাঠানবাড়ি এলাকা, নাজির রোড, পেট্রোবাংলোসহ বিভিন্ন এলাকায় তৈরি হয়েছে জলাবদ্ধতা। বন্যা পরিস্থিতি বিবেচনায় ফুলগাজী উপজেলার ৯৯টি এবং পরশুরাম উপজেলায় ৩২টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
ফেনী শহরে জলাবদ্ধতার জন্য স্থানীয়রা পৌর প্রশাসনের ব্যর্থতাকে দুষলেও প্রশাসক বলছেন ভিন্ন কথা।
ফেনী পৌরসভার প্রশাসক গোলাম মোহাম্মদ বাতেন বলেন, ‘আমরা বড় ড্রেন করে দেবো। ড্রেনের মাঝে আন্তঃসংযোগ করে দেবো। তবে আমাদের ড্রেনগুলো তো কোনো বড় খালে বা নদীতে গিয়ে পড়েছে। এ দীর্ঘ চলার পথে যেন কোনো বাধার সম্মুখীন না হতে হয়। এজন্য সংশ্লিষ্ট ডিপার্টমেন্টের সাথে আমাদের কাজের সমন্বয় করতে হবে।’