কক্সবাজারে আবহাওয়া পরিস্থিতির উন্নতি, ভেসে উঠছে ক্ষয়ক্ষতির চিহ্ন

কক্সবাজার
বৃষ্টি ও বাঁধ ভেঙে প্রবেশ করা পানি নামতে শুরু করেছে
এখন জনপদে , আবহাওয়ার খবর
পরিবেশ ও জলবায়ু
0

কক্সবাজারে আবহাওয়া পরিস্থিতি উন্নতির পাশাপাশি, বৃষ্টিপাত কমে যাওয়ায় জেলার নিম্নাঞ্চল থেকে প্লাবনের পানি নেমে গেছে। এতে ভেসে উঠতে শুরু করেছে ক্ষয়ক্ষতির চিহ্ন।

আবহাওয়ার বিরূপ পরিস্থিতিতে টানা কয়েকদিনের বৃষ্টির সাথে জেলার উপকূলীয় এলাকার নিম্নাঞ্চলে বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে জোয়ারের পানি লোকালয়ে প্রবেশ করায় পানিবন্দী হয়ে পড়েছিল অর্ধশত গ্রামের অন্তত ৫০ হাজারের বেশি মানুষ। 

বিশেষ করে মহেশখালী, কুতুবদিয়া, রামু, চকরিয়া, পেকুয়া, টেকনাফ, উখিয়া ও কক্সবাজার সদর উপজেলার মতো নিচু এলাকাগুলো পানিতে তলিয়ে যায়। এতে সহস্রাধিক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

পাশাপাশি টেকনাফের মেরিন ড্রাইভের কিছু অংশসহ জেলার বেশ কিছু সড়ক-উপসড়ক, ব্রিজ, কালভার্ট এবং নানা স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। 

এছাড়া বানের পানিতে তলিয়ে গেছে উপকূলীয় এলাকার কিছু সংখ্যক মৎস্য ঘের ও লবণের মাঠ। নিম্নচাপের প্রভাবে দমকা হাওয়া ও ঝড়ে উপড়ে গেছে অসংখ্য গাছপালা ও পানের বরজ। ভারী বৃষ্টিপাত থেমে যাওয়ায় প্লাবনের পানি নেমে গেলে ভেসে উঠতে শুরু করে ক্ষয়ক্ষতির চিহ্ন। 

আবহাওয়া অধিদপ্তর কক্সবাজার আঞ্চলিক কার্যালয়ের সহকারী আবহাওয়াবিদ আব্দুল হান্নান জানান, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ গভীর নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার পর বৃহস্পতিবার (২৯ মে) সন্ধ্যার পর উপকূল অতিক্রম করে। পরে গতকাল (শুক্রবার, ৩০ মে) দুপুর পর্যন্ত স্থল নিম্নচাপের প্রভাবে ঝড়ো হাওয়াসহ ভারী ও অতি ভারী বৃষ্টিপাত হয়। তবে শুক্রবার মধ্যরাতে ভারী বৃষ্টিপাত থেমে গেলেও অব্যাহত রয়েছে গুড়ি গুড়ি ও মাঝারি বৃষ্টিপাত।

তিনি জানান, এখন আবহাওয়ার পরিস্থিতি উন্নতি হওয়ায় ঝড়ো হাওয়ার আর সম্ভাবনা নেই। এতে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত প্রত্যাহার করা হয়েছে। 

এদিকে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহ্উদ্দিন জানান, জেলার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো প্রাথমিকভাবে জরুরি সহায়তা পাঠানো হয়েছে। এখনো চূড়ান্ত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা যায়নি।

এসএইচ