মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে আগামী শুক্রবার একযোগ পালিত হবে ঈদুল আজহা। শেষ সময়ে কোরবানির পশুর হাটে চলছে দর কষাকষি। পছন্দের কোরবানির পশু কিনতে স্থানীয়দের পাশাপাশি বাজারে ঘুরছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরাও। দুবাইয়ের স্থায়ী পশুর হাটে আনাগোনা বেড়েছে ক্রেতাদের। এই হাটে দেশটি শারজাহ, আজমানসহ বিভিন্ন প্রদেশ থেকে ক্রেতারা ছুটে আসেন।
ক্রেতাদের মধ্যে একজন বলেন, ‘বাজারে গরু আছে কিন্তু আগে বেশি ছিল। তখন সস্তা ছিল, দামও কম ছিল। এবার দাম বেশি পড়ছে।’
এবছর দেশটিতে কোরবানির পশুর দাম তুলনামূলক বেশি বলছেন ক্রেতারা। দাম বেড়েছে ভারতীয়, পাকিস্তানি, সোমালি গরু ও ছাগলের। ৩০০ থেকে ৪০০ কেজি ওজনের গরুর দাম সর্বনিম্ন নয় হাজার দিরহাম থেকে শুরু, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় তিন লাখ টাকা। ২২ কেজি ওজনের পাকিস্তানি ছাগলের দাম শুরু দুই হাজার ৫০০ দিরহামে, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৮৫ হাজার টাকা।
ক্রেতাদের মধ্যে একজন বলেন, ‘কোরবানির ঈদে পশু কেনা অনেক আনন্দের। ছাগলের দাম এবার বেশি তুলনামূলকভাবে।’
বিক্রেতারা বলছেন, কোরবানির পশুর চাহিদা এখন প্রচুর। ক্রেতারাও ইতোমধ্যেই কেনাকাটা শুরু করে দিয়েছেন। চাহিদা বৃদ্ধির কারণে, ঈদ যত এগিয়ে আসবে দাম আরো বাড়তে পারে। দামের তারতম্য থাকলেও প্রবাসে ঈদ উদযাপনের লক্ষ্যে কেউ কেউ ভাগাভাগি করে কিনছেন পছন্দের কোরবানির পশু, কেউ কিনে নিয়ে যাচ্ছে এককভাবে।