ঈদ আনন্দ বঞ্চিত যুক্তরাজ্য প্রবাসীরা, জোরালো হচ্ছে ছুটির দাবি

ঈদের ছুটির দাবিতে যুক্তরাজ্যে প্রবাসীদের আন্দোলন
প্রবাস
0

ঈদে বিশ্ব মুসলিম উম্মাহ আনন্দঘন সময় পার করলেও, প্রতিবছরই আনন্দ থেকে বঞ্চিত হতে হয় যুক্তরাজ্যে বসবাসরত লাখো কর্মজীবী মুসলমানের। তাই এবার জোরালো হচ্ছে সরকারি ছুটির দাবি। আগে-পরে না হলেও, ধর্মীয় স্বাধীনতা ও কর্মক্ষেত্রে সমতা নিশ্চিত করতে অন্তত ঈদের দিন ছুটি নিশ্চিতের আহ্বান বিশিষ্টজনদের।

প্রায় ৪০ লাখ মুসলিমের বসবাস যুক্তরাজ্যে। যদিও কোরবানির ঈদে নেই সরকারি ছুটি। তাই কর্মস্থলেই ঈদের আনন্দ খুঁজে নিতে হয় অনেক কর্মজীবীকে।

উৎসবের আমেজ, পরিবার-পরিজনের সাথে আনন্দঘন মুহূর্ত কিংবা আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার মতো চিরচেনা ঈদ সংস্কৃতি, এসবই যেন কর্মব্যস্ত জীবনের চাপে বিস্মৃত হয়। অন্যান্য দিনের মতো ঈদের দিনও কাটাতে হয় কর্মক্ষেত্রেই।

অনেক কর্মজীবী ঈদের ছুটি পেলেও রেস্টুরেন্ট শ্রমিকদের তা জোটে না বললেই চলে। তাই দিন দিন ছুটির দাবি জোরালো হচ্ছে। প্রায় ১০ হাজার বাংলাদেশি মালিকানাধীন রেস্টুরেন্ট মালিকদের কাছে ঈদের ছুটি নিশ্চিতের দাবি কমিউনিটিগুলোর।

লন্ডন বাংলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক তাইসির মাহমুদ বলেন, ‘ঈদের একটি দিন রেস্তোরাঁগুলো বন্ধ রাখলে তেমন কোনো ক্ষতি হবে বলে আমি মনে করি না। আপনারা নিজেরা শান্তিতে ঈদ উদযাপন করুন এবং আমার স্টাফদেরও শান্তিতে ঈদ উদযাপন করতে দেন।’

লন্ডন টাওয়ার হ্যামলেটস’র কাউন্সিলর কামরুল হুসাইন বলেন, ‘ক্রিস্টমাসের দিন বন্ধ রাখা হয় কিন্তু ঈদের দিন বন্ধ রাখা হয় না। আপনারা বন্ধ রেখে দেখুন, লাভবান হবেন। কর্মীরা আরও মনোযোগ দিয়ে কাজ করতে পারবে।’

কর্মীদের ঈদের ছুটির দাবিতে বেশ কয়েকটি সংগঠন প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে দীর্ঘদিন। এ অধিকার আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা সোচ্চার থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।

আন্দোলনকারীদের একজন আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘ব্রিটেনের বিভিন্ন লোকাল কাউন্সিলে আমরা যাবো, পাশাপাশি লন্ডনের মেয়রের কাছেও আমরা স্বারকলিপি নিয়ে যাবো।’

আন্দোলনকারীদের মধ্যে আরেকজন সারোয়ার আহমেদ বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, আমরা আমাদের এই ক্যাম্পেইনটা অব্যাহত রাখি তাহলে একদিন এই মানবিক অধিকারটা প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হবো।’

সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় একদিনের জন্য হলেও ঈদের ছুটি রাখা সম্ভব বলে মনে করছেন খোদ রেস্টুরেন্টকেন্দ্রিক সংগঠনের অনেকেই।

এসএইচ