১২৮ জন ডেমোক্র্যাট সদস্যও রিপাবলিকানদের সঙ্গে একমত হয়ে প্রস্তাবটির বিপক্ষে ভোট দেন। এ ভোটের মাধ্যমে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে যে, ইরানের তিনটি স্থাপনায় সামরিক হামলা চালানোর ঘটনায় ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্ট প্রক্রিয়া শুরু করার বিষয়ে কংগ্রেসে এমনকি ডেমোক্র্যাটদের মধ্যেও এখনো পর্যাপ্ত সমর্থন নেই।
আল গ্রিনের উত্থাপিত প্রস্তাবে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মার্কিন সংবিধানের আর্টিকেল দুই ধারা লঙ্ঘন করে কংগ্রেসকে উপেক্ষা করে ইরানে সামরিক অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দেন, যা প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার ক্ষমতার অপব্যবহার।
তবে রিপাবলিকান হাউস স্পিকার মাইক জনসন, যিনি একসময় সাংবিধানিক আইনজীবী ছিলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সিদ্ধান্তকে সরাসরি সমর্থন করেন। তিনি বলেন, ‘এ হামলা প্রেসিডেন্টের আর্টিকেল টু ক্ষমতার আওতায় পড়ে। এটি নিয়ে কোনো বিতর্ক থাকার কথা নয়। প্রেসিডেন্ট কম্যান্ডার-ইন-চিফ হিসেবে এ সিদ্ধান্ত নেওয়ার সাংবিধানিক অধিকার রাখেন।’
অন্য রিপাবলিকান নেতারাও জনসনের মতের সঙ্গে একমত হয়ে বলেন, প্রেসিডেন্ট জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষা এবং আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার স্বার্থেই এ পদক্ষেপ নিয়েছেন।
এ নিয়ে ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে বিভক্তি দেখা দেয়। পরে অধিকাংশ ডেমোক্র্যাট সদস্য প্রস্তাবটি বাতিল করার পক্ষে ভোট দেন। যদিও নিউইয়র্কের কংগ্রেস ওমেন আলেক্সান্দ্রিয়া ওকাসিও-কোর্টেজ প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দিয়ে বলেন, ‘কংগ্রেসের অনুমতি ছাড়া প্রেসিডেন্টের একক সামরিক অভিযান সংবিধানবিরোধী, এবং তা ইমপিচমেন্টের আওতায় পড়ে।’
এদিকে ইরানে ট্রাম্পের হামলার বিরোধিতা রিপাবলিকান শিবিরেও ছিল। রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান থমাস ম্যাসি বলেন, ‘এ হামলা সংবিধান সম্মত ছিল না। প্রেসিডেন্ট একতরফা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, যা কংগ্রেসকে উপেক্ষা করার শামিল।’
অন্যদিকে প্রস্তাবটি বাতিল হওয়ার পর হোয়াইট হাউস এক বিবৃতিতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সিদ্ধান্তকে ‘ঐতিহাসিক অর্জন’ বলে আখ্যা দিয়েছে। হোয়াইট হাউসের সহকারী প্রেস সেক্রেটারি টেইলর রজার্স বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যা অর্জন করেছেন তা কোনো পূর্ববর্তী প্রেসিডেন্ট পারেন নি।‘
‘শক্তির মাধ্যমে শান্তি’ নীতির ফলে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ধ্বংস হয়ে গেছে এবং এখন একটি যুদ্ধবিরতির চুক্তি কার্যকর হয়েছে। এটি শুধু যুক্তরাষ্ট্র নয়, পুরো মধ্যপ্রাচ্য ও বিশ্বের জন্য শান্তির বার্তা বলেও জানান তিনি।