কে হচ্ছেন অস্ট্রেলিয়ার পরবর্তী নেতা? জানা যাবে আজই

বিদেশে এখন
0

৭ হাজারের বেশি কেন্দ্রে নিজেদের পরবর্তী নেতা বেছে নিতে ভোট দিচ্ছেন অস্ট্রেলিয়ানরা। যেখানে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে ক্ষমতাসীন লেবার পার্টি ও বিরোধী লিবারেল জোটের মধ্যে। প্রায় দুই লাখ ভোটারের মধ্যে আগাম ভোটগ্রহণে ব্যালটে মত দিয়েছেন ৮৫ হাজার নাগরিক। জরিপের ফল বলছে, অ্যান্থনি আলবানিজের টানা ২ মেয়াদে সরকার গঠনের সম্ভাবনা থাকলেও একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অনিশ্চিত। আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা শেষেই জানা যাবে, কে হতে যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার আগামীর নেতা।

অ্যান্থনি আলবানিজের দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতা গ্রহণ নাকি পিটার ডুটনের ইতিহাস তৈরি? কী হতে যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়ায়? তাসমান পাড়ের দেশটির নেতা নির্ধারণে চলছে ফেডারেল নির্বাচনের ভোটগ্রহণ।

পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউজ অফ রিপ্রেজেন্টেটিভের ১৫০ জন ও উচ্চকক্ষ সিনেটের ৪০ জন প্রতিনিধিকে বেছে নেয়া হবে এবারের নির্বাচনে। স্থানীয় সময় আজ (শনিবার, ৩ মে) সকাল ৮টা থেকে ৭ হাজারের বেশি কেন্দ্রে ব্যালটে মত দিচ্ছেন ভোটাররা।

১৯২৪ সাল থেকে অস্ট্রেলিয়ায় নাগরিকদের জন্য বাধ্যতামূলক করা হয় ভোটদান। অন্যথায় গুনতে হয় ১৩ ডলার জরিমানা। তাই দেশটির ফেডারেল নির্বাচনে কখনোই ভোটার উপস্থিতির হার ৯০ শতাংশের নিচে নামেনি।

এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার এক কোটি ৮১ লাখ। ইতোমধ্যে প্রায় অর্ধেক বা ৮৫ লাখের বেশি ভোটার ব্যালটে মত দিয়েছেন। জনমত জরিপ বলছে, টানা দ্বিতীয়বারের মতো সরকার গঠন করতে পারেন অ্যান্থনি আলবানিজ। যদিও একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবার সম্ভাবনা কম।

এবারের নির্বাচনে প্রাধান্য পাচ্ছে জীবনযাত্রার ব্যয়, মূল্যস্ফীতি, আবাসন ও জ্বালানির মতো নানা অর্থনৈতিক ইস্যু। পাশাপাশি ডোনাল্ড ট্রাম্পের আগ্রাসী শুল্কারোপও ভাবাচ্ছে অস্ট্রেলিয়ানদের। শিক্ষার্থীদের ঋণ ২০ শতাংশ কর্তনের ঘোষণা ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির।

উল্টোদিকে অর্ধ-লাখ সরকারি কর্মী ছাঁটাইয়ের পাশাপাশি স্থায়ী অভিবাসন ২৫ শতাংশ কমানোর ঘোষণায় কিছুটা ব্যাকফুটে লিবারেল জোট। আগ্রাসী নীতির কারণে বিরোধী দলের নেতা পিটার ডুটনের তুলনা হচ্ছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে।

অস্ট্রেলিয়ান নাগরিকদের মধ্যে একজন বলেন, ‘পিটার ডুটনকে দেখলে মনে হয় এমন একটা লোক ডিমের দাম কমানোর কথা বলছেন, যিনি নিজেই দেখতে ডিমের মতো।’

আরেকজন বলেন, ‘আমি সবসময় লেবার পার্টিকে ভোট দিয়েছি। কারণ আমির বদলে আমাদের শব্দে বিশ্বাসী। যেখানে জড়িয়ে আছে দেশ ও জাতির উন্নতির প্রসঙ্গ।’

অন্য আরেকজন নাগরিক বলেন, ‘যাত্রার ব্যয় ও শিশু যত্নের বিষয়কে গুরুত্ব দিচ্ছি। আমাদের দেশে আরও শিক্ষক প্রয়োজন।’

অস্ট্রেলিয়ায় ৩টি টাইমজোন থাকায় ভিন্ন ভিন্ন সময়ে শেষ হবে ভোটগ্রহণ। এর পরই শুরু হবে ভোট গণনা প্রক্রিয়া। অতীত ইতিহাস বলছে, নির্বাচনের রাতেই ঘোষণা করা হয় ফলাফল।

এসএইচ