দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে হিরোশিমা আর নাগাসাকিতে যুক্তরাষ্ট্রের পরমাণু বোমা হামলা আর ভয়াবহ পরাজয়ের পর সামরিকভাবে আন্তর্জাতিক অঙ্গন থেকে নিজেদের গুটিয়ে রেখেছিল জাপান। প্রায় সাত দশক একই অবস্থান ধরে রাখার পর অবশেষে ২০১৪ সালে সামরিক পণ্য রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় টোকিও।
এরপর প্রথমবারের মতো প্রতিরক্ষা পণ্য প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে দেশটি। ডিফেন্স এন্ড সিকিউরিটি ইকুইপমেন্ট ইন্টারন্যাশনাল-প্রদর্শনীতে অভ্যন্তরীণভাবে তৈরি জাপানের মিসাইল, রণতরি আর তড়িৎচুম্বকীয় রেললাইন দেখানো হচ্ছে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী চেন নাকাতানি বলেছেন, দেশের বাইরেও প্রতিরক্ষা সমঝোতার পাশাপাশি অস্ত্র রপ্তানিতে একধাপ এগিয়ে যেতেই এই উদ্যোগ নিয়েছে টোকিও। ব্যবসায়ীরা বলছেন, পুরো পৃথিবীকে জানান দিতেই এতো আয়োজন।
২০২৩ সালের তুলনায় এবারের প্রদর্শনীর আয়োজন দ্বিগুণ। অংশ নিয়েছে ৩৩ টি দেশের ৪৭১ টি প্রতিরক্ষা পণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান। এরমধ্যে ১৬৯ টিই জাপানের। সামরিক পণ্য রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার এক দশক পর বিশ্বের প্রতিরক্ষা পণ্যের বাজারে অংশগ্রহণের এই উদ্যোগ নিলো টোকিও।
মূলত চীন, উত্তর কোরিয়া আর রাশিয়া থেকে ক্রমাগত হুমকি ধামকি বাড়ায় দেশের সামরিক খাতের আন্তর্জাতিক পরিধি বাড়ানোর চেষ্টা করছে জাপান।