তিনি বলেন, ‘আমরা ইরানে হামলায় জড়িত নই এবং আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হচ্ছে অঞ্চলে মোতায়েন মার্কিন বাহিনীর সুরক্ষা।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, ইরান যেন যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ বা কর্মীদের লক্ষ্য না করে।’
ইসরাইলের পক্ষ থেকে ইরানে হামলার ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা পরই সেখানে জোরালো বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। এর আগে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রকাশ্যে বলেছিলেন, ইসরাইলের এখনই এমন কিছু করা উচিত নয়।
ট্রাম্প বলেছিলেন, ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে একটি সমাধান খুব কাছাকাছি এসেছে এবং ইসরাইলি হামলা সেই সম্ভাবনা বিনষ্ট করতে পারে।
আরো পড়ুন:
যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে সপ্তম দফার আলোচনা আগামী রোববার ওমানে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। রুবিও বলেন, ‘ইসরাইল আমাদের জানিয়েছে, তারা মনে করছে এই পদক্ষেপটি তাদের আত্মরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ছিল।’
তবে তিনি ইসরাইলি হামলার পক্ষে বা বিপক্ষে সরাসরি কোনো অবস্থান জানাননি।
তিনি আরো বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও তার প্রশাসন আমাদের বাহিনীর সুরক্ষায় প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। আমরা আঞ্চলিক অংশীদারদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ বজায় রেখেছি।’
ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরাইল কাৎজ জানান, হামলার পর তেহরানের পাল্টা প্রতিক্রিয়া আসতে পারে—এমন আশঙ্কায় দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
তিনি বলেন, ‘ইরানে প্রতিরোধমূলক হামলার পর ইসরায়েল ও এর বেসামরিক জনগণের ওপর ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা আসন্ন বলে ধারণা করা হচ্ছে।’
এই হামলার জেরে বিশ্ববাজারে তেলের দাম ৬ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে গেছে। অপরদিকে, ইরানের তেল মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরাইলের মারাত্মক হামলায় মূল তেল শোধনাগার এবং জ্বালানি ডিপোগুলোর কোনো ক্ষতি হয়নি এবং এসব ডিপোতে স্বাভাবিক কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
আরো পড়ুন:
মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘দেশের পরিশোধনাগার এবং তেল ডিপোগুলোর কোনো ক্ষতি হয়নি এবং বর্তমানে দেশের সমস্ত অংশে এই স্থাপনাগুলোর কার্যক্রম এবং জ্বালানি সরবরাহ স্বাভাবিকভাবে চলছে।’—বাসস