ইরানের লাগাতার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অনেকটা নাকানি-চুবানি খাচ্ছে ইসরাইল। তবে পশ্চিমা সংবাদমাধ্যমের বরাতে সে খবর কতটা প্রচার হচ্ছে তা নিয়ে রয়েছে বড় ধরনের প্রশ্ন। কারণ স্বভাবগতভাবেই ক্ষয়ক্ষতি খুব একটা সামনে আনতে চায় না ইসরাইল।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের ভিডিও ফুটেজে ইসরাইলের ধ্বংসযজ্ঞ স্পষ্ট। পাখির চোখে দেখা যাচ্ছে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় মাটির সঙ্গে মিশে গেছে ইসরাইলের বিভিন্ন এলাকার আবাসিক ভবন। ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে ইহুদিদের বেশ কিছু এলাকা। হতাহতদের উদ্ধারে কাজ করছেন দমকলকর্মীরা।
শুক্রবার (১৩ জুন) ইরান ইসরাইলে পাল্টা হামলা শুরু করলে যুদ্ধ আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে ইহুদিদের মধ্যে। বাসিন্দারা যুদ্ধের প্রস্তুতি হিসেবে খাবার মজুত করা শুরু করেন। আইডিএফও এরইমধ্যে বাসিন্দাদের নিরাপদে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
আরো পড়ুন:
তবে শত্রুপক্ষকে প্রতিহতে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে ইহুদিরা। শুক্রবার ভোর থেকেই ইসরাইলজুড়ে জারি রয়েছে জরুরি অবস্থা। যা রোববার পর্যন্ত বহাল থাকলেও এর সময়সীমা আরো বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে তেল আবিব।
এ পরিস্থিতিতে বন্ধ রয়েছে ইসরাইলের প্রায় সব কার্যক্রম। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও পরবর্তী ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। বন্ধ থাকবে মার্কেট, শপিং, রেস্টুরেন্ট ও জিম। এ ছাড়াও গণজমায়েতে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে তেল আবিব। জরুরি সেবা ছাড়া বন্ধ রয়েছে সব ধরনের অফিস-আদালত।
আরো পড়ুন:
ইরানের হামলার পরে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ইসরাইলের অ্যাভিয়েশন বিভাগ। এরই মধ্যে বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরে স্থগিত রয়েছে বিমান উঠানামা। এতে আটকে পড়েছে প্রায় ৫০ হাজার যাত্রী। এক দিনের মধ্যে এর সংখ্যা বেড়ে ১ লাখ হওয়ার কথা জানিয়েছে বেন গুরিয়ন বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।
এ পরিস্থিতি ইসরাইলের সব বাসিন্দাদের নিরাপদে থাকার নির্দেশ ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহুর। যে যেখানে থাকবে সেখানেই খুঁজে নিতে হবে নিরাপদ আশ্রয়।