ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির অগ্রগতি রোধ করতে বহু বছর ধরেই ইরানি পারমাণবিক বিজ্ঞানীদের লক্ষ্য করে অভিযান চালিয়ে আসছে ইসরাইল। তবে ১৩ জুন থেকে শুরু করা ইসরাইলি আক্রমণ ছিল নজিরবিহীন।
ইরানও পাল্টা হামলার মাধ্যমে ইসরাইলি বিজ্ঞানীদের ভয়ংকর বার্তা দিচ্ছে। আর এই বার্তা গেছে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র ইসরাইলের শীর্ষস্থানীয় গবেষণা প্রতিষ্ঠানে আঘাত করার মাধ্যমে। জানা গেছে, তেহরানের হামলায় ইসরাইলের ওয়েইজম্যান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্সের কেউ নিহত না হলেও ব্যাপক ক্ষতির শিকার হয়েছে প্রতিষ্ঠানটির একাধিক ল্যাব। নষ্ট হয়েছে বছরের পর বছর ধরে চলা বৈজ্ঞানিক গবেষণা।
ওয়েইজম্যান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্সের উন্নয়ন ও যোগাযোগ বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট রোই ওজেরি বলেন, ‘আগুনের সাথে লড়াইয়ে অনেক কিছু ধ্বংস হয়ে গেছে। যতটা সম্ভব নমুনা সংরক্ষণ করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি।’
এ অবস্থায় খোদ প্রতিষ্ঠানটির আণবিক কোষ জীববিজ্ঞান এবং আণবিক স্নায়ুবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ওরেন শুলডিনার বলেছেন, ইরান ইসরাইলি বিজ্ঞানের মুকুট মণির ক্ষতি করতে সক্ষম হয়েছে। যা তেহরানের জন্য একটি নৈতিক বিজয় বলেও মনে করছেন তিনি।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ইরানের গোয়েন্দা অনুপ্রবেশ ইসরাইলের তুলনায় কম সফল হওয়ায় এবং ইসরাইলের গোয়েন্দা সক্ষমতা অপ্রতিরোধ্য হওয়ার কারণে দখলদারদের চক্রান্তগুলো দৃশ্যমান হয়নি তেহরানের কাছে। কিন্তু সাম্প্রতিক হামলায় ইসরাইলের গবেষকদের ভীতিকর পরিস্থিতিতে ফেলেছে।
ইসরাইলি বিজ্ঞানী এলাদ তাজাহর বলেন, ‘নতুন করে গবেষণা শুরু করতে এক বছর সময় লাগবে বলে মনে হচ্ছে। আগের গবেষণার কোনো কিছুই আমরা পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হব না।’
ল্যাবের ক্ষতির কারণে জীববিজ্ঞান বা ক্যান্সারের মতো ক্ষেত্রগুলো নিয়ে গবেষণা স্থগিত রয়েছে। এর কারণে ইসরাইল বহু বছর পিছিয়ে গেছে বলেও মত বিশ্লেষকদের।