‘বি-টু-বি বোম্বার্স’ দিয়ে মাটির গভীরে থাকা ইউরেনিয়াম ধ্বংস করা সম্ভব। ৩০ হাজার পাউন্ডের ‘বাঙ্কার বাস্টার জিবিইউ ফাইভ সেভেন’ বোমা বহনের সক্ষম মার্কিন এই বিমানটি। তাই ইসরাইল ইরান সংঘাত শুরুর পর যুক্তরাষ্ট্রের এই বিমানই ছিলো ইসরাইলের অন্যতম ভরসা।
ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর আলোচনার তুঙ্গে স্টেলথ বোমারু বিমান ‘বি-টু-বি বোম্বার্স’ ও ‘বাঙ্কার ব্লাস্টার বোমা জিবিউ ফাইভ সেভেন'। যা দিয়ে মূলত ইরানের নাতাঞ্জ, ফোর্দো ও ইস্ফাহানে হামলা চালিয়েছে মার্কিন বিমানবাহিনী।
বিমানটি ১২ কিলোমিটার ওপর থেকে লক্ষ্যবস্তুকে আঘাত হানে। কোনো ধরনের ইঞ্জিন ছাড়াই বাঙ্কার ব্লাস্টারটি যত নিচের দিকে যায় ততই গতি বাড়াতে থাকে। বেশি ওজনের কারণে এই বোমাটি যখন অনেক বেশি গতি নিয়ে মাটির প্রায় ৬০ মিটার গভীরে আঘাত হানে এবং প্রায় ২৪০০ কেজি বিস্ফোরক ধ্বংস করে।
তাই ইসরাইল একাধিকবার বলে আসছে কেবলমাত্র যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ এই বাঙ্কার ব্লাস্টার দিয়ে ইরানের ফোর্দো পারমাণবিক কেন্দ্র ধ্বংস করা সম্ভব। কারণ, ইরানের দ্বিতীয় পারমাণবিক কেন্দ্র ফোর্দোতে মাটির ৩০০শ’ মিটার গভীরে সুরক্ষিত রয়েছে ৬০ শতাংশ ইউরেনিয়াম।
মার্কিন এই বোমারু বিমানগুলো তৈরিতে খরচ পড়ে ২১০ কোটি ডলার। এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর সবচেয়ে ব্যয়বহুল সামরিক বিমান এটি। এই বোমারু বিমানের গতিসীমা ৬ হাজার নটিক্যাল মাইলের ওপরে। যা দিয়ে খুব সহজেই যুক্তরাষ্ট্র থেকে মধ্যপ্রাচ্যে হামলা করা সম্ভব।