ওয়াশিংটন থেকে এএফপি জানায়, নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ এক বিস্ফোরক বার্তায় ট্রাম্প তেহরানের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করেন, কারণ ইরান দাবি করেছে তারা ইসরাইলের সঙ্গে যুদ্ধে জয়ী হয়েছে। একইসঙ্গে তিনি ইরানের ওপর সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের কাজ বন্ধ করার ঘোষণাও দেন।
ট্রাম্প বলেন, যদি মার্কিন হামলার পরও ইরান পারমাণবিক অস্ত্র-মানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করতে সক্ষম হয়, তাহলে ‘নিঃসন্দেহে’ যুক্তরাষ্ট্র আবারও ইরানকে বোমা মারবে।
ইসরাইলকে হারিয়েছেন এবং যুক্তরাষ্ট্রকে ‘চড়’ মেরেছেন বলে খামেনির বক্তব্য উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেন, ‘এ একপ্রকার অকৃতজ্ঞতা।’
ট্রাম্প লিখেছেন, ‘আমি জানতাম তিনি কোথায় আশ্রয় নিয়েছেন এবং আমি ইসরাইল কিংবা বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী যুক্তরাষ্ট্রের সশস্ত্র বাহিনীকে তার জীবন শেষ করতে দিইনি।’
তিনি লেখেন, আমি তাকে এক ভয়াবহ ও লাঞ্ছনাজনক মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করেছি। অথচ আমাকে ‘ধন্যবাদ, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প’ পর্যন্ত বললো না।
তিনি বলেন, ‘বিগত কয়েকদিন ধরে তিনি ইরানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সম্ভাবনা নিয়ে কাজ করছিলেন, যা তেহরানের দীর্ঘদিনের একটি প্রধান দাবি।’
‘কিন্তু না, আমি পেলাম শুধু রাগ, ঘৃণা আর বিদ্বেষপূর্ণ বার্তা। ফলে আমি সঙ্গে সঙ্গে নিষেধাজ্ঞা শিথিলের সব কাজ বন্ধ করে দিলাম,’—বলেন ট্রাম্প। একইসঙ্গে তিনি ইরানকে আবারো আলোচনার টেবিলে ফিরতে আহ্বান জানান।
নোটো সম্মেলনে ট্রাম্প জানান, আগামী সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে পরমাণু আলোচনা শুরু হবে। কিন্তু বুধবার ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তা অস্বীকার করেন। ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ বলেন, ‘একটি বিস্তৃত শান্তিচুক্তির’ আশায় তারা কাজ করছেন।
হোয়াইট হাউসে সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্পকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ‘যদি সাম্প্রতিক বিমান হামলা ইরানের পারমাণবিক কার্যক্রম বন্ধে ব্যর্থ হয়, তাহলে ‘অবশ্যই’, ‘নিঃসন্দেহে’ নতুন করে হামলা চালানো হবে।’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘খামেনি এবং ইরানকে আমরা ভালোভাবেই পরাস্ত করেছি। এটিই ছিল যুদ্ধ শেষ করার সেরা সময়।’
তিনি জানান, তিনি খামেনির বক্তব্যের জবাবে ‘একটি ছোট বিবৃতি’ দেবেন বলে সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, যা পরে ট্রুথ সোশ্যাল পোস্টের মাধ্যমে প্রকাশ করেন।