‘বিগ বিউটিফুল বিল’কে আইনে পরিণত করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

‘বিগ বিউটিফুল বিল’কে আইনে পরিণত করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প
বিদেশে এখন
0

স্বাধীনতা দিবসের ক্ষণে ‘বিগ বিউটিফুল বিল’কে সইয়ের মাধ্যমে আইনে পরিণত করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর এটিকে মার্কিনিদের বিজয় বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। বিলটি নিয়ে বিতর্ক ছড়ানোয় এসময় ডেমোক্র্যাটদের সমালোচনা করেন ট্রাম্প। জমকালো আয়োজনে আতশবাজির উৎসবের পাশাপাশি মহড়া প্রদর্শন করে ইরানে হামলা চালানো বোমারু বিমানের পাইলটেরা। তবে যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা দিবসের মধ্যেও ট্রাম্প-বিরোধী বিক্ষোভে সরব ছিল দেশটির বিভিন্ন শহর।

বর্ণিল আলোকছটায় উজ্জ্বল ওয়াশিংটন ডিসির আকাশ, আলোকিত দ্যা ওয়াশিংটন মনুমেন্ট। হোয়াইট হাউজের ব্যালকোনি থেকে দাঁড়িয়ে সস্ত্রীক জনগণের উল্লাসের চিত্র দেখছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পুরো জাতির মধ্যেই উৎসবের আবহ। কারণ ২৪৯তম স্বাধীনতা দিবস পালন করছে যুক্তরাষ্ট্র।

আরো পড়ুন:

মার্কিনিদের মধ্যে একজন বলেন, ‘এ বছরের আয়োজন সুন্দর ছিল, শেষটাও ভালো হয়েছে। অনেক আতশবাজি পোড়ানো হয়েছে। জীবনের সবচেয়ে সুন্দর আতশবাজির উৎসব দেখলাম। মার্কিন নাগরিক হিসেবে প্রথমবার উৎযাপনে অংশ নিতে পারায় আনন্দিত।’

৪ জুলাইয়ের আগেই আলোচিত কর ছাড় ও ব্যয় সংকোচন বিল পাসের প্রতিশ্রুতি দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প, যা রক্ষার পর সইয়ের মাধ্যমে শুক্রবারই (৪ জুলাই) ‘বিগ বিউটিফুল বিল’ পরিণত হয়েছে আইনে।

মার্কিন প্রেসিডেন্টের দাবি, বিলটি নিয়ে গুজব ছড়িয়ে জনগণকে আতঙ্কিত করায় ব্যস্ত ছিল ডেমোক্র্যাট শিবির। দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় বিল পাসের পক্ষে ভোট দেয়ায় এসময় রিপাবলিকান আইন-প্রণেতাদের ধন্যবাদ দেন তিনি।

ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘তারা মিডিয়ায় কথা ছড়িয়েছে, এই বিল পাস করানো যাবে না। এটি পাস হলে সবাই মারা যাবে। তবে সত্যিকার অর্থে ঘটনা উল্টো, সবাই বাঁচবে। নেতিবাচকতা ছড়ানোই ডেমোক্র্যাটদের কাজ। এটি অপরাধের শামিল।’

আরো পড়ুন:

ট্রাম্পের বক্তব্য শুরুর আগে হোয়াইট হাউজের ওপর দিয়ে উড়ে যায় বি-টু স্পিরিট বোম্বার। ইরানের পরমাণু স্থাপনায় হামলার অভিযানে অংশ নেয়া বিমান ও পাইলটরা ছিলেন এই আয়োজনে।

প্রেসিডেন্টের দাবি, গেলো দুই সপ্তাহে শুধু জয়ের মুখ দেখেছে মার্কিনরা। এমনটা আগে কখনোই দেখা যায়নি।

এদিকে, বিলটি আইনে পরিণত হওয়ায় খাদ্য সুবিধা, স্বাস্থ্যসেবা ও জীবাশ্ম জ্বালানি প্রকল্প থেকে তুলে নেয়া হচ্ছে ভর্তুকি। এতে স্বাস্থ্যসেবা ও সামাজিক নিরাপত্তার আওতার বাইরে চলে যাচ্ছেন নিম্নআয়ের কোটি কোটি মানুষ।

বিপরীতে উচ্চ আয়ের মার্কিনরা পাচ্ছেন কর ছাড়ের সুবিধা। বাজেট বাস্তবায়ন করলে আগামী ১০ বছরে মার্কিন জাতীয় ঋণে আরও ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি ডলার যুক্ত হবে বলে পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে।

ডেমোক্র্যাটিক ন্যাশনাল কমিটির চেয়ারম্যান কেন মার্টিনের দাবি, আইনটি রিপাবলিকানদের গলার কাঁটা। এই আইনের প্রভাবে আগামী বছরের কংগ্রেশনাল নির্বাচনে রিপাবলিকান শিবিরে পড়তে পারে বিরূপ প্রভাব।

এদিকে স্বাধীনতা দিবসে ট্রাম্প-বিরোধী বিক্ষোভ হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে। স্বাস্থ্য সেবা ও সামাজিক সুরক্ষা-খাতে বরাদ্দ কমানোয় ওয়াশিংটন, ফ্লোরিডা ও হিউস্টনে অংশ নেন শত শত মার্কিন নাগরিক। এসময় প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের দাবিও জানান বিক্ষোভকারীরা।

এসএইচ