যুক্তরাষ্ট্রে জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিলে ট্রাম্পের আদেশ স্থগিত করলো আদালত

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প
বিদেশে এখন
0

যুক্তরাষ্ট্রের জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিলে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশ স্থগিত করেছেন নিউ হ্যাম্পশায়ারের ফেডারেল আদালত। রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের সুযোগ থাকলেও ট্রাম্প প্রশাসন সুবিধা করতে পারবে না বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের। এদিকে, অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার সময় ক্যালিফোর্নিয়ায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছে বিক্ষোভকারীরা। অভিযান অমানবিক উল্লেখ করে বিবৃতি দিয়েছেন ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর।

যুক্তরাষ্ট্রে জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব ইস্যুতে প্রতিদিনই যোগ হচ্ছে নতুন ঘটনা। গত ২০ জানুয়ারি ক্ষমতা গ্রহণের প্রথম দিনই জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের সুবিধা বাতিল করতে নির্বাহী আদেশে সই করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার এই আদেশের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের বিচারকরা একে একে রায় দিলেও এই ইস্যুতে নিম্ন আদালতের ক্ষমতা কেড়ে নেন সুপ্রিম কোর্ট। এবার মার্কিন প্রেসিডেন্টের নির্বাহী আদেশ স্থগিত করেছেন নিউ হ্যাম্পশায়ারের ফেডারেল আদালত।

আদালতের রায়ে উল্লেখ করা হয়, ট্রাম্পের আদেশ কার্যকর হলে বহু শিশুর নাগরিকত্ব হুমকির মুখে পড়বে। যা যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী বেশিরভাগ বাসিন্দার জন্য অপূরণীয় ক্ষতি ডেকে আনবে। আদেশটি ২৭ জুলাই থেকে কার্যকরের কথা। রায়ের বিরুদ্ধে সরকারের আপিল করার সুযোগ রয়েছে। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, আপিল করলেও খুব একটা সুবিধা করতে পারবে না ট্রাম্প প্রশাসন।

অভিবাসন আইন বিশেষজ্ঞ চার্লস কুক বলেন, ‘আদালত বলছে, কেউ অরক্ষিত বোধ করলে ক্লাস অ্যাকশন দায়ের করতে পারেন। ক্লাস অ্যাকশন এমন একটি বিষয় যা সবার জন্য প্রযোজ্য হবে। বিষয়টা কিছুটা জটিল। তবে, আদালতের এই রায় চ্যালেঞ্জের ঊর্ধ্বে থাকবে বলেই আমার বিশ্বাস।’

এদিকে, অনিবন্ধিত অভিবাসীদের বিরুদ্ধে তল্লাশি অভিযানের সময় ক্যালিফোর্নিয়ায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। এসময় আটক করা হয় বেশ কয়েকজনকে। বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) অঙ্গরাজ্যটির দক্ষিণে দুটি বড় অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানকে অমানবিক আখ্যা দিয়ে ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর দাবি করেন, বিশৃঙ্খলা, আতঙ্ক ও সন্ত্রাসের মাধ্যমে বিভক্তির চেষ্টা করছে ট্রাম্প প্রশাসন।

গত জুনে অভিবাসীদের ধরপাকড়ের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হলে ক্যালিফোর্নিয়ায় প্রায় ৫ হাজার সেনা মোতায়েন করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। যদিও, সেসময় সপ্তাহ ব্যাপী বিক্ষোভ দাঙ্গায় পরিণত হলেও, এখনো অব্যাহত রয়েছে অভিযান।

ইএ