পুতিনের ওপর হতাশ, তবে সম্পর্ক ছিন্ন করিনি: ট্রাম্প

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প
বিদেশে এখন
0

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ওপর হতাশ, তবে সম্পর্ক ছিন্ন করেননি। বিবিসিকে টেলিফোনে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বন্ধু হিসেবে পরিচিত পুতিনের ওপর বিশ্বাস হারানোর প্রশ্নে ট্রাম্প বলেন, তিনি কাউকেই বিশ্বাস করেন না। ২০ মিনিটের সাক্ষাৎকারে ন্যাটোর প্রতি সমর্থন এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ নিয়েও কথা বলেন ট্রাম্প।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সম্পর্ক দিন দিন তিক্ততার দিকে যাচ্ছে। অথচ কিছুদিন আগেও তারা ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবেই পরিচিত ছিলেন। হোয়াইট হাউজের ক্ষমতায় আসার আগেই ট্রাম্প বলেছিলেন এক ফোন কলেই ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করতে পারবেন। তবে ৭ মাস পেরিয়ে গেলেও যুদ্ধ বন্ধের কোনো সম্ভাবনাও তৈরি হয়নি।

রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টদের সঙ্গে কথা বলে ফায়দা হয়নি। বিষয়টি নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরেই হতাশ মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তিনি কোনোভাবেই পুতিনকে বাগে আনতে পারছেন না। তার আশা ছিল আলোচনার মাধ্যমেই শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব। তবে ইউক্রেনে রাশিয়ার ক্রমাগত আক্রমণে ধৈর্যের বাধ ভেঙে গেছে ট্রাম্পের।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে টেলিফোনে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে পুতিনের ওপর হতাশা ঝাড়েন ট্রাম্প। পুতিনের সঙ্গে সম্পর্ক এখনো ছিন্ন করেননি বলেও জানান তিনি। পুতিনের ওপর বিশ্বাস হারিয়েছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, তিনি কারো ওপরই আস্থা বা বিশ্বাস রাখেন না।

ইউক্রেনে রক্তপাত বন্ধের বিষয়ে জানতে চাইলে ট্রাম্প বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এখনো হাল ছাড়েনি। পুতিন দারুণ দারুণ কথা বলেন, মনে হয় এই বুঝি চুক্তি হয়ে গেল। তবে পরেই দেখি তিনি ইউক্রেনের ওপর হামলা চালাচ্ছেন। এটি আসলে হতাশার বিষয়। ট্রাম্প জানান, যুদ্ধ বন্ধে চারবার চুক্তি হওয়ার পথে ছিল।

এতোদিন পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোকে অপ্রাসঙ্গিক বললেও এখন জোটের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন তিনি। তার মতে, জোটটি এখন নিজের খরচে চলছে। সে ব্যবস্থা ট্রাম্প নিজেই করে দিয়েছেন।

নির্বাচনী প্রচারণায় গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর তার জীবনে কতটুকু পরিবর্তন এসেছে। এমন প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, তিনি এসব বিষয় যতটা সম্ভব কম ভাবতে পছন্দ করেন।

তবে ট্রাম্পের এই সাক্ষাৎকারের প্রায় পুরোটা জুড়েই ছিল পুতিন এবং ইউক্রেন যুদ্ধ। এদিকে পুতিন দীর্ঘদিন ধরেই বলে আসছেন, রাশিয়াও শান্তির পক্ষে। তবে এর আগে যুদ্ধের মূল কারণগুলো সমাধান করার দাবি জানান তিনি। পুতিনের অভিযোগ, ইউক্রেন, ন্যাটো ও পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সেজু