রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধেও বিজয়ের প্রত্যাশা ইউক্রেনীয়দের। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ ইউক্রেনের মিত্র দেশতো বটেই, ভারত সেজেছে ইউক্রেনের পতাকার আলোয়। এদিন কুরস্কের পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ইউক্রেনীয় হামলার দাবি করছে রাশিয়া। এদিকে রুশ ভূখণ্ডে হামলার ক্ষেত্রে মার্কিন অস্ত্র ব্যবহারে ইউক্রেনের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে পেন্টাগন।
রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধের মধ্যেই আজ ৩৪তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করছে ইউক্রেন। ১৯৯১ সালের এই দিনে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনে স্বাধীনতা পেয়েছিলো দেশটি।
এরই অংশ হিসেবে একদিন আগে শনিবার দেশটির জাতীয় পতাকা দিবস উদযাপনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় স্বাধীনতা দিবসের আনুষ্ঠানিকতা। অনেক ভূমি রুশ বাহিনীর দখলে চলে যাওয়ায়, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে, আবারও একদিন তাদের জাতীয় পতাকা দেশের সবখানেই উড়বে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, শুধু ইউক্রেনই নয়; দেশটির মিত্র দেশসহ যেসব দেশে ইউক্রেনীয়রা রয়েছেন সব জায়গায় চলছে স্বাধীনতা দিবসের জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজন। এমনকি যুদ্ধের মধ্যে রাশিয়ার তেল কেনায় যে ভারতকে অতিরিক্ত মার্কিন শুল্ক বোঝা বইতে হচ্ছে; সেই দেশটিতেও লেগেছে ইউক্রেনীয় স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের আঁচ। দিল্লির ঐতিহাসিক কুতুব মিনার সেজেছে হলুদ এবং নীল রঙের ইউক্রেনের জাতীয় পতাকার আলোয়। যা দেশটির জাতীয় দিবসে ইউক্রেনের প্রতি ভারতের সংহতির প্রতীক বহন করছে।
আরও পড়ুন:
এদিকে স্কাইডাইভের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যের আকাশে নিজ দেশের পতাকা মেলে ধরে নজর কেড়েছেন একদল ইউক্রেনীয়। এছাড়াও নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে উদযাপন করা হচ্ছে দিবসটি। এদিন রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধেও বিজয়ের প্রত্যাশার কথা জানান ইউক্রেনীয়রা।
স্বাধীনতার স্বীকৃতি হিসেবে ডাউনিং স্ট্রিটেও উড়ছে ইউক্রেনীয় পতাকা। এমনকি দেশটির প্রতিরক্ষা সচিব জন হিলি জানিয়েছেন, তাদের প্রতি সমর্থন আরও জোরালো করবে যুক্তরাজ্য। এমনকি ইন্টারফ্লেক্সের সম্প্রসারণের আওতায় ২০২৬ সালের শেষ পর্যন্ত ইউক্রেনীয় সৈন্যদের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে বলে নিশ্চিত করা হয়েছে। অপারেশন ইন্টারফ্লেক্স হল যুক্তরাজ্যের সশস্ত্র বাহিনীর প্রশিক্ষণ কর্মসূচির কোডনেম। যা রাশিয়ান আক্রমণকারীদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে ইউক্রেনীয় সেনাদের প্রস্তুতির জন্য তৈরি করা হয়েছে।
এদিকে ইউক্রেনের স্বাধীনতা দিবসে রাশিয়ার দাবি, তাদের কুরস্ক অঞ্চলে থাকা একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে কিয়েভ। তবে কোনও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি এবং পারমাণবিক স্থাপনাটিতে লাগা আগুন ইতোমধ্যে নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে বলে জানিয়েছে মস্কো। এছাড়া একটি ইউক্রেনীয় ড্রোন ভূপাতিত করাও দাবি রুশ বাহিনীর। রাশিয়ার অভিযোগের বিপরীতে এখনও কোনও মন্তব্য করেনি ইউক্রেন। তবে রুশ ভূখণ্ডে হামলার ক্ষেত্রে মার্কিন অস্ত্র ব্যবহার করতে কিয়েভের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে পেন্টাগন।
১৫ আগস্ট আলাস্কায় ট্রাম্প-পুতিনের বৈঠকের পরও এমন উত্তেজনায়, রাশিয়া- ইউক্রেনের মধ্যে শান্তি চুক্তির বিষয়ে আপাতত কোনো সম্ভাবনা দেখছেন না বিশ্লেষকরা।