ভিন্নধর্মী এ শিল্পকর্মের কারিগর ড্যানিশ শিল্পী থাইরা হিলডেন জানান, নারীদের প্রতি সম্মানের পাশাপাশি সকলের মাঝে লিঙ্গ সমতা তুলে ধরতেই এ উদ্যোগ।
থাইরা হিলডেন বলেন, ‘আমি এ কাজটির মাধ্যমে শক্তিশালী ব্যক্তিত্বকে নারীত্বপূর্ণ কিছুতে রূপান্তরিত করেছি এবং নারীশক্তি বুঝাতে চেয়েছি। এটি হাস্যরসের মাধ্যমে যেন সবার কাছে ছড়িয়ে যায়। এর আগেও কলা শিল্পকর্মের মূল্যের চেয়ে আমি এটির মূল্য ১০ শতাংশ বেশি নির্ধারণ করেছি।
এদিকে ব্যক্তিকর্মী এ শিল্পকর্ম মন কেড়েছে আগত দর্শনার্থী ও নিলামকারীদের মাঝেও। কৌতূহল ও মজার ছলে অনেকেই করেছেন ফ্রেমবন্দি। শিল্পীর সঙ্গে খোশ গল্পে মাতেন অনেকেই । বার্ষিক এ এন্টার আর্ট ফেয়ারে, স্থান পায় ২০ টিরও বেশি দেশের ৯০টিরও শিল্পকর্ম।
শিল্পকর্ম দেখতে আসা এক দর্শনার্থী বলেন, ‘নিঃসন্দেহে এটির দাম কিছুটা হাস্যকরও। আমি মনে করি সবাই এটা বুঝতে পারছে, একটি কলার জন্য এত টাকা দেওয়া ঠিক নয়, কিন্তু যখন আপনি সেই আলোচনাটি গ্রহণ করবেন এবং আপনি এটি বিবেচনা করতে শুরু করবেন, শিল্পী এ শিল্পকর্মের মাধ্যমে কী বলতে চান।’
অপর একজন দর্শনার্থী বলেন, ‘আমি ইনস্টাগ্রামে এ শিল্পকর্মটি বেশ এলোমেলোভাবে দেখতে পেয়েছিলাম। তারপর, আমি এটি বাস্তবে দেখতে কোপেনহেগেনে চলে এসেছি। এই শিল্পকর্মের মাধ্যমে নারীদের লিঙ্গ সমতা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।’
আরও একজন দর্শনার্থী বলেন, ‘অনেক সুন্দর শিল্পকর্ম দেখে আনন্দিত। আমি আমার বন্ধুর সাথে এই শিল্পকর্মটি দেখতে এসেছি। আপনি জানেন, লিঙ্গ আকৃতির ফলটি অনেক কিছুর প্রতিনিধিত্ব করছে, এটি খুব আকর্ষণীয়।’
শুধু ডেনমার্কেই এ শিল্পকর্ম নয়, ২০১৯ সালে মিয়ামি বিচ ফেয়ারে আর্ট ব্যাসেলে একটি প্রদর্শনীতে প্রথম ‘কলার’ প্রদর্শনী হয়। সেবার প্রদর্শনী চলাকালে অন্য একজন শিল্পী দেয়াল থেকে কলাটি খুলে খেয়ে ফেলেন। পরে ফাঁকা জায়গায় আরেকটি কলা লাগিয়ে দেওয়া হয়।
পরে ওই শিল্পকর্মটির তিনটি সংস্করণ ১ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলারে বিক্রি হয়। সবশেষ ২০২৪ সালে সোথবি'সে দেয়ালে টেপ দিয়ে আটকানো একটি কলা বিক্রি হয় ৬২ লাখ ডলারে। তখন থেকেই এ কলা শিল্পকর্ম নিয়ে চলছে হইচই।