ইসরাইলি আগ্রাসন: একই পরিবারের ১৪ জনসহ ৬৫ জনের প্রাণহানি

গাজায় আবারও  ইসরাইলি হামলা
বিদেশে এখন
0

গাজায় শরণার্থী শিবির হিসেবে ব্যবহৃত স্কুল ও বহুতল আবাসিক ভবনে শুক্রবার কয়েক দফায় হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। এতে একই পরিবারের ১৪ জনসহ প্রাণ গেছে মোট ৬৫ জনের। এমন প্রেক্ষাপটে উপত্যকাটিতে আগ্রাসন ও কাতারে হামাসের নেতাদের ওপর হামলার প্রতিবাদে শুক্রবার রাজধানী তেল আবিবসহ ইসরাইলের মধ্যাঞ্চলে মিসাইল হামলা করেছে ইয়েমেনি হুথিরা। এদিকে, স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে ইয়েমেন, জর্ডান ও নিউজিল্যান্ডে।

প্রাণে বাঁচতে হলে পালাতে হবে শহর থেকে। কিন্তু পালিয়ে কোথায় যাবেন ফিলিস্তিনিরা? এ প্রশ্নের উত্তর নেই কারো কাছে।

মূল শহর দখলের অংশ হিসেবে গাজার বহুতল আবাসিক ভবন, শরণার্থী শিবির হিসেবে ব্যবহৃত স্কুল পরিণত হয়েছে ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর লক্ষ্যবস্তুতে। অবরুদ্ধ উপত্যকার এমন কোনো স্থান নেই যেখানে গেলে আশ্রয় পেতে পারেন ফিলিস্তিনিরা। তবুও প্রতিদিন কোনো না কোনো অঞ্চল থেকে বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দিচ্ছে নেতানিয়াহু বাহিনী।

গাজার স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, ‘হঠাৎ করে ঘোষণা দেয়া হলো এখানে বোমা হামলা হবে। ইসরাইলি সেনারা আমাদের দ্বিধাগ্রস্ত করে ফেলছে। তারা কখন কী করে আমরা বুঝতে পারি না। তাদের দেখলে এখন ভয় করে।’

বাসিন্দারা বলেন, ‘গাজার কোনো অঞ্চল আমাদের জন্য নিরাপদ নয়। যখন ভাববেন দক্ষিণে গেলে প্রাণ বাঁচবে, দেখবেন তখনই সেখানে হামলা চালাবে ইসরাইল।’

আরও পড়ুন:

এমন প্রেক্ষাপটে শুক্রবার দিবাগত রাতে রাজধানী তেল আবিবসহ ইসরাইলের মধ্যাঞ্চলে মিসাইল হামলা করেছে ইয়েমেনের হুথিরা। হামলার পর দায় স্বীকার করে সংগঠনটি জানায়, ক্লাস্টার বোম্ব ওয়ারহেড বহনকারী প্রোজেক্টাইল মিসাইল ব্যবহার করে তেল আবিবের স্পর্শকাতর লক্ষ্যবস্তুতে হামলা করা হয়েছে। যদিও হুথিদের সবগুলো মিসাইল সফলভাবে প্রতিহতের দাবি ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বিভাগের।

একই দিনে, গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে রাজধানী সানায় সাবিল স্কয়ারে বিক্ষোভ করেছেন হাজার হাজার ইয়েমেনি।

ইয়েমেনি বিক্ষোভকারীরা বলেন, ‘ইয়েমেনিদের রক্ত, হুথি যোদ্ধাদের রক্ত, গাজার নিরীহ মানুষের রক্ত কখনোই বৃথা যাবে না। আমরা গাজাবাসীর সঙ্গে আছি। ইয়েমেন থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করা হবে। আমরা যে কোনো কিছু ত্যাগ কর‌তে রাজি আছি।’

এদিকে ইসরাইলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে শুক্রবার বিক্ষোভ হয়েছে বিশ্বের অন্যান্য প্রান্তে। কাতারে হামাস নেতাদের ওপর হামলার প্রতিবাদে জর্ডানের রাজধানী আম্মানের রাজপথে নেমে আসেন ফিলিস্তিনপন্থি নাগরিকরা। ফিলিস্তিনের পক্ষে সমাবেশ হয়েছে নিউ জিল্যান্ডের সবচেয়ে বড় শহর অকল্যান্ডে।

এদিকে, গাজায় বেসামরিক নাগরিকদের প্রাণহানি ও মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে চীন। দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিনা কারণে সাধারণ মানুষকে হত্যা- একবারেই সমর্থনযোগ্য নয়।

ইএ