১৬ এপ্রিল ইমাম-মুয়াজ্জিনদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

এশিয়া
বিদেশে এখন
0

ভারতে বিতর্কিত ওয়াকফ সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে সহিংস বিক্ষোভে তিনজনের প্রাণহানির পর রাজ্যজুড়ে উত্তেজনা তুঙ্গে পৌঁছেছে। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের পর তৎপরতা শুরু করেছে যৌথ বাহিনী। নাশকতার অভিযোগে রোববার (১৩ এপ্রিল) সকাল পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে দেড় শতাধিক। এদিকে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে ইমাম, মুয়াজ্জিনদের নিয়ে আগামী ১৬ এপ্রিল গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক ডেকেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

রাস্তা-ঘাটে পড়ে থাকা ধ্বংসযজ্ঞের চিত্র ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদের। ভারতের বিতর্কিত ওয়াকফ আইনের বিরুদ্ধে মুর্শিদাবাদে হওয়া সহিংস বিক্ষোভে শনিবার (১২ এপ্রিল) হতাহতের ঘটনা ঘটায় উত্তেজনার পারদ ছাড়িয়েছে গোটা রাজ্যে। বিরাজ করছে থমথমে পরিস্থিতি।

অশান্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মুর্শিদাবাদে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্ট। এরপর শনিবার রাত থেকে যৌথ তৎপরতা শুরু করে কেন্দ্র ও রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বাড়ানো হয়েছে নজরদারি।

নতুন করে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে কাজ করছে প্রায় ৩০০ বিএসএফ জওয়ানসহ কেন্দ্রীয় বাহিনীর অন্তত ৮০০ সদস্য। রোববার সকাল পর্যন্ত নাশকতার অভিযোগে দেড় শতাধিক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে রাজ্য পুলিশ।

কঠোর নজরদারির মধ্যেও রোববার মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ানে সহিংসতার ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হওয়ার খবর দিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম। এমন পরিস্থিতিতে মানুষকে শান্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকি আগামী ১৬ এপ্রিল ইমাম, মোয়াজ্জেম ও বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে গুরুত্বপূর্ণ সভার ডাক দিয়েছেন তিনি। যদিও পশ্চিমবঙ্গে বিতর্কিত ওয়াকফ আইন বলবত হতে দেবেন না বলেও প্রতিশ্রুতি দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা।

বিতর্কিত ওয়াকফ সংশোধনী আইন কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না ভারতের সংখ্যালঘু মুসলিমরা। এর জেরে পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও আসাম, মণিপুর ছাড়া আরও বেশ কয়েকটি রাজ্যে বিরাজ করছে উত্তেজনা।

ইসলাম ধর্মে প্রচলিত বিশ্বাসে ওয়াকফ হলো মুসলিমদের দাতব্য বা ধর্মীয় অনুদান, যা মুসলিম সম্প্রদায়ের কল্যাণে ব্যবহার করা হয়। অন্য কোনো কাজে এ ধরনের সম্পদ ব্যবহার, বিক্রির বা মালিকানা হস্তান্তরের অনুমতি নেই। আইন সংশোধনের মাধ্যমে বিজেপি সরকার এ অধিকার খর্ব করছে বলেও অভিযোগ ভারতের মুসলিম সম্প্রদায়ের।

এসএস