বিশ্বের সবচেয়ে বড় সামরিক জোটের বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিতে নেদারল্যান্ডসের হেগে উপস্থিত হয়েছেন বিশ্ব নেতারা। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ ও ইরান-ইসরাইল সংঘাতের মধ্যেও আলোচনায় প্রতিরক্ষা বাজেট বাড়ানোর প্রসঙ্গ।
২০৩৫ সালের মধ্যে জোটের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় ৫ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে আলোচনা হবে এবারের সম্মেলনে। যদিও এই প্রস্তাবে আগ্রহ নেই স্পেনের। বর্তমানে জিডিপির ২ শতাংশ প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয়ের বিধান থাকলেও গেলো বছর তা মানতে পেরেছে ২৩টি দেশ। এমন পরিস্থিতিতে স্পেনের ওপর কিছুটা ক্ষুব্ধ মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘আমিই সেই ব্যক্তি ছিলাম যে কি না সবার আগে প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় বাড়ানোর কথা বলেছিলাম। তবে স্পেনের সঙ্গে সবসময় সমস্যা থেকেই যাচ্ছে। তারা প্রস্তাবে রাজি হচ্ছে না। যা অন্যান্য দেশগুলোর জন্য অন্যায় হয়ে যায়।’
ন্যাটোর ধারা অনুযায়ী জোটভুক্ত কোনো দেশের ওপর আক্রমণ, সব দেশের ওপর আক্রমণ হিসেবে বিবেচিত হওয়ার কথা। যা মেনে নিয়ে ২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে হামলার পর বিশ্বজুড়ে সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধ শুরু করে ন্যাটো। তবে এই যৌথ প্রতিরক্ষা নিশ্চয়তা যুক্তরাষ্ট্র মেনে চলবে কী না, তা নিয়ে ধোঁয়াশা ছড়িয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্টের বক্তব্য।
ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘পাঁচ নম্বর ধারার অনেকগুলো ব্যাখ্যা আছে। সে বিষয়ে না গিয়ে বলতে চাই, আমি তাদের মিত্র হিসেবে থাকতে চাই। বেশ কয়েকজন রাষ্ট্রনেতা আমার বন্ধু। আমি তাদের সাহায্য করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
এবারের সম্মেলনের অন্যতম এজেন্ডা ইউক্রেন যুদ্ধ। ইতোমধ্যে কিয়েভের প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন ন্যাটো ও ইইউ প্রধান। আর প্রতিরক্ষা উৎপাদনে বিনিয়োগ বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
তিনি বলেন, ‘রাশিয়া প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্রের জন্য যন্ত্রাংশগুলো অন্যদেশ থেকে রপ্তানি করা হয়। দুঃখজনক বিষয় হলো, এর মধ্যে ইউরোপ ও ন্যাটো সদস্যভুক্ত দেশও রয়েছে। এগুলো বন্ধ করার সময় চলে এসেছে।’
এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতা গ্রহণের পর প্রথমবারের মতো তুরস্কের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এসময় ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতির পাশাপাশি দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্কসহ বেশ কিছু বিষয়ে আলোচনা করেন দুই রাষ্ট্র নেতা।