ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় আগ্রাসন না থামানোয় নতুন করে ইসরাইলবিরোধী অবস্থান জোরালো করলো ইয়েমেনের হুতিরা। হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইসরাইলের তেল আবিব ও বেন গুরিওন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হামলার দাবি করছে ইরান-সমর্থিত ইয়েমেনের এই সশস্ত্র গোষ্ঠীটি। এর আগেও বেন গুরিওন বিমানবন্দরে কয়েক দফায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে তারা।
ইয়েমেন হুতিদের মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারেয়া বলেন, ‘অভিযানটি সফলভাবে তার লক্ষ্য অর্জন করেছে। যার ফলে লাখ লাখ ইহুদিরা পালিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে বাধ্য হয়েছে। বিমানবন্দরের কার্যক্রমও বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে।’
রোববার ইসরাইলি ভূখণ্ডে হামলা চালানো ছাড়াও লোহিত সাগর দিয়ে চলাচলকারী বাণিজ্যিক জাহাজও লক্ষ্যবস্তু করেছে হুতি বাহিনী। এতে ড্রোন ও গ্রেনেড হামলায় লোহিত সাগরের ইয়েমন উপকূল দিয়ে যাওয়ার সময় লাইবেরিয়ার পতাকাবাহী এবং গ্রীক মালিকানাধীন জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আগ্রাসন না থামালে আগামীতে আরও কঠোর হওয়ার হুঁশিয়ারি তাদের।
ইয়াহিয়া সারেয়া বলেন, ‘গাজায় আগ্রাসন বন্ধ না করলে এবং অবরোধ তুলে না নিলে আমরা আমাদের অভিযান অভিযান রাখবো। আগামী দিনে যে কোনও ঘটনা ঘটতে পারে, তা ভেবে আমরা মোকাবেলার জন্যও প্রস্তুত।’
লোহিত সাগরের দুটি বাণিজ্যিক জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হলেও, ক্রু সদস্যদের নিরাপদে সরিয়ে নেয়া সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাজ্যের মেরিটাইম ট্রেড অপারেশনস- ইউকে.এম.টি.ও। ইসরাইল এবং হুতিদের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ায় অঞ্চলটি দিয়ে চলাচলকারী সব নৌযানকে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শও দিয়েছে সংস্থাটি।
প্রায় এক মাস পর রোববার রাতে ইয়েমেনের হোদেইদা, রাস ইসা ও সালিফ বন্দরে হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। হামলায় হুতি নিয়ন্ত্রিত রাস ইসা বন্দরে থাকা রাডার সিস্টেম বহনকারী জাহাজ গ্যালাক্সি লিডার এবং রাস কান্তিব বিদ্যুৎকেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে দাবি করছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী। যদিও বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দিয়ে ইসরাইলি হামলা হামলা সফলভাবে প্রতিহতের দাবি হুতিদের।
এদিকে গত নভেম্বরে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধবিরতির পরও তা লঙ্ঘন করে দেশটিতে দফায় দফায় হামলা চালাচ্ছে ইসরাইল। এ অবস্থায় দেশটির সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, ইসরাইলি আগ্রাসন না থামলে এবং দক্ষিণ লেবানন থেকে ইসরাইলি সেনাদের প্রত্যাহার না করলে কিছুতেই অত্মসমর্পণ করবে না তারা।