ফিলিস্তিনপন্থি মার্কিন শিক্ষার্থীদের সংগঠক মাহমুদ খলিলকে গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনায় ক্ষোভে ফুঁসছেন যুক্তরাষ্ট্রে থাকা ইসরাইল বিরোধী শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ।
স্থানীয় সময় শনিবার (১২ এপ্রিল) ফিলিস্তিনের পতাকা হাতে নিউইয়র্কের টাইমস স্কয়ারে জড়ো হন শত শত আন্দোলনকারী। শ্লোগানে শ্লোগানে গাজায় হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ যেমন জানিয়েছেন, তেমনি মাহমুদ খলিলকে মুক্তির জোর দাবিও জানান বিক্ষোভকারীরা।
আন্দোলনকারীদের মধ্যে একজন বলেন, ‘মানুষের বাক স্বাধীনতার অধিকার আছে। প্রতিবাদ করার অধিকার আছে, রাস্তায় নামার অধিকার আছে। মাহমুদের মুক্তির জন্য যেমন মানুষ জড়ো হয়েছে, আমাদের কিছু হলেও তারা রাস্তায় নামবেন।’
এসময়, আটক ও বিচারের ভয় দেখিয়ে নির্যাতিত ফিলিস্তিনিদের পক্ষ থেকে তাদের দূরে সরানো যাবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন তারা।
আন্দোলনকারীদের মধ্যে একজন বলেন, ‘তারা মানুষকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু তারা বুঝতে চাইছে না যে, ফিলিস্তিনের জন্য যারা লড়াই করে তারা আসলে কীসের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। আমরা ফিলিস্তিনের পক্ষে লড়াই করতে প্রস্তুত।’
অন্য একজন বলেন, ‘আমরা ভয় পাই না। আমরা এ দেশের জনগণ, এই দেশটি আমাদের। জনগণের পাশে জনগণ দাঁড়াবোই।’
যুক্তরাষ্ট্রে ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেয়ার অভিযোগে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মাহমুদ খলিলকে গত ৮ মার্চ আটক করা হয়। এরপর গত শুক্রবার (১১ এপ্রিল) তাকে নির্বাসনে পাঠানো হতে পারে বলে রায় দেন যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন বিচারক। এতে ফিলিস্তিনপন্থি এ মার্কিন শিক্ষার্থীকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কারের প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে পারবে ট্রাম্প প্রশাসন। আপিলের সুযোগ আছে যুক্তরাষ্ট্রের স্থায়ী বাসিন্দা খলিলেরও।