আজ (বৃহস্পতিবার, ২১ আগস্ট) বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মুবিনা আসাফের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। মামলাটিকে চলমান মামলা হিসেবেও ঘোষণা করেছে আদালত।
আদালত জানতে চান, কেন জুলাই-আগস্টের গণহত্যা সম্পর্কিত জাতিসংঘের ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং প্রতিবেদন ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সংরক্ষণ করা হবে না।
আইনজীবী মো. তানভীর আহমেদ জানান, মামলার ওপর চূড়ান্ত রায় ঘোষণার দিন ছিল গত ৩ আগস্ট। তবে রাষ্ট্রপক্ষ সময় চাইলে আজ রায় ঘোষণা করা হয়।
তিনি বলেন, ‘দোষীদের বিচার নিয়ে আগস্টে রিট করি। তখন আদালত রুল ইস্যু করেন। সে অনুযায়ী সরকার পদক্ষেপ নিয়েছে। ট্রাইব্যুনাল পুনঃপ্রতিষ্ঠা হয়েছে, আইন সংশোধন করা হয়েছে, তদন্ত সংস্থা ও প্রসিকিউশন টিম কাজ করছে। এর মধ্যেই জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে, যেখানে প্রায় এক হাজার ৪০০ মানুষকে হত্যার কথা উল্লেখ আছে।’
আরও পড়ুন:
তানভীর আহমেদ বলেন, ‘আমাদের মতে এ প্রতিবেদন তিনটি কারণে সংরক্ষণ করা জরুরি— ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে জানাতে, প্রমাণ হিসেবে রাখতে এবং ন্যায়বিচারের স্বার্থে ব্যবহার করতে।’
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তরের (ওএইচসিএইচআর) তথ্যানুসন্ধান দল ২০২৪ সালের ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলো বিশ্লেষণ করে। গুরুতর আহত ও বিক্ষোভকারীদের সাক্ষাৎকার নিয়েই তৈরি ওই প্রতিবেদনটি গত ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত হয়। চলতি বছরের মে মাসে রিট আবেদনকারীর সম্পূরক আবেদনের সঙ্গে প্রতিবেদনটি আদালতে দাখিল করা হয়।