কারওয়ান বাজারে জলাবদ্ধতায় জনদুর্ভোগ

কারওয়ান বাজারে জলাবদ্ধতা
কাঁচাবাজার
বাজার
0

টানা বৃষ্টিতে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে ক্রেতা-বিক্রেতাকে। পানিতে নষ্ট হয়েছে অনেক পণ্য, যা নিরাপদে সরিয়ে রাখার চেষ্টা করেন দোকানিরা। বিক্রেতারা বলছেন, বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে দাম বাড়তে পারে সবজির বাজারে।

দেখে খাল মনে হলেও এই চিত্র রাজধানীর কারওয়ান বাজারের। টানা বৃষ্টিতে তৈরি হয়েছে জলাবদ্ধতা, তলিয়েছে সবজিসহ বিভিন্ন মালপত্র।

গতকাল (বৃহস্পতিবার, ২৯ মে) দিনভর বৃষ্টির প্রভাব আজ (শুক্রবার, ৩০ মে) তেও দেখা যায় বাজারে। পানিতে নষ্ট হয় অনেক পণ্য, যা নিরাপদে সরিয়ে রাখার চেষ্টা করেন দোকানিরা।

দোকানিদের মধ্যে একজন বলেন, ‘ব্যাপারীরা এখানে রেখে বাসায় গেছে যে সকালে এসে বিক্রি করবে। কিন্তু সকালে এসে দেখে পানি সব ভাসিয়ে নিয়ে গেছে। এখনও পানি জমে আছে।’

বৈরী আবহাওয়ায় উপস্থিতি কম দেখা গেলেও, পরে বৃষ্টির বিরতিতে সমাগম বাড়ে সাধারণ ক্রেতাদের। বাজারেও দেখা যায় সবজির পর্যাপ্ত সরবরাহ। কাঁচামরিচ ৪০ টাকা, ঢেঁড়স-পোটল ৩০ আর টমেটো-ধুন্দল বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজি দরে। দুই একটি ছাড়া বেশিরভাগ সবজিই বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকার কমে।

ক্রেতাদের মধ্যে একজন বলেন, ‘যা আছে আমাদের সাধ্যের মধ্যে আছে, আমরা নিতে পারছি। বর্তমান বাজারে যে সব মালামাল আছে তার দাম অনেক কম।’

বৃষ্টিপাতের কারণে সবজির দাম কমেছে জানিয়ে বিক্রেতারা বলছেন, এমন চিত্র অব্যাহত থাকলে সরবরাহ কমলে দাম বাড়বে বেশিরভাগ সবজির।

বিক্রেতাদের মধ্যে একজন বলেন, ‘পণ্য যেগুলো ঢুকে গেছে এগুলোই তো বিক্রি হচ্ছে না। সেজন্য দাম কম। আবার যখন পণ্য ঢুকবে তখন দাম আবার বেড়ে যাবে।’

এদিকে গত সপ্তাহের তুলনায় ১০ টাকা বেড়ে শুক্রবার ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা আর জাতভেদে ২২০-২৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে সোনালি মুরগি।

এছাড়া বৃষ্টির মধ্যে বাজারে মাছের সরবরাহ দেখা যায়। দেশি ও চাষের বিভিন্ন প্রজাতির মাছ বিক্রি হচ্ছে গত সপ্তাহের দামেই। সেই সাথে গরু ও খাসির মাংসের দামও অপরিবর্তিত রয়েছে।

এসএস