দেড় দশক পর মুখোমুখি হলো বাংলাদেশ-পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব। পদ্মায় সকাল সাড়ে ১০টায় শুরু হয় বৈঠক। এতে পাকিস্তানের পক্ষে নেতৃত্ব দিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রর সচিব আমনা বালুচ। আর বাংলাদেশের পক্ষে বৈঠকে নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্র সচিব জসীম উদ্দিন।
আজকের বৈঠকে স্থান পেয়েছে ঢাকা-ইসলামাবাদ অমীমাংসিত ইস্যু, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, বাণিজ্য সম্প্রসারণ, যোগাযোগ ও আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থার মতো বিষয়গুলো।
বিকেল বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন পররাষ্ট্র সচিব। তিনি বলেন, 'বাংলাদেশ-পাকিস্তান অমীমাংসিত বিষয়গুলো নিয়ে তারা আলোচনা করবে।'
জসীম উদ্দিন বলেন, ‘১৯৭১ সালের গণহত্যার জন্য ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। আটকেপড়া পাকিস্তানীদের প্রত্যাবাসনের বিষয়েও বৈঠকে জোর দেয়া হয়েছে।’
আরো পড়ুন:
একাত্তরের ক্ষতিপূরণের বিষয়ে তিনি বলেন, 'পাকিস্তানের কাছে ১৯৭১ এর আগে ও পরে সব মিলে ৪.৩২ বিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ চেয়েছে বাংলাদেশ।'
এদিকে ঢাকায় সফররত যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক ব্যুরোর উপ-সহকারী সচিব নিকোল অ্যান চুলিক এবং পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় বিষয়ক ব্যুরোর উপ-সহকারী সচিব অ্যান্ড্রু আর হেরাপ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন ও পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বৈঠক ফলপ্রসু হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘গণতন্ত্র, নির্বাচন, ইউএসএইডের সহযোগিতা পুনর্বিবেচনা, উচ্চ শুল্ক ও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে মার্কিন দুই মন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ঘাটতি কীভাবে কমানো যায় সেটিই আলোচনায় এসেছে। মূলত রোহিঙ্গা বিষয়টিকে ফোকাস করা হয়েছে।’