তিনি উল্লেখ করেন, ‘২০১৭ সালে এবং তার আগে, সীমিত সম্পদ ও সক্ষমতা সত্ত্বেও, মানবিক কারণে বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের জীবন বাঁচাতে তাদের সীমান্ত খুলে দিয়েছিল। রোহিঙ্গাদের ওপর জাতিগত নির্মূলের ভয়াবহ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন থেকে সশস্ত্র ঘাতকদের থামানো বাংলাদেশের নৈতিক দায়িত্ব ছিল।’
ড. ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তনে অবদান রাখার পাশাপাশি ন্যায়বিচার ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে এই সাত দফা প্রস্তাব তৈরি করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘দেশ এখন স্থিতিশীল, জাতীয় নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত।’
আরও পড়ুন:
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন, রোহিঙ্গা ইস্যুকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে জোরালোভাবে উপস্থাপন করতে তিনটি বড় সম্মেলনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। প্রথম সম্মেলন কক্সবাজারে ২৪ আগস্ট শুরু হয়েছে। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘে দ্বিতীয় সম্মেলন হবে, যেখানে প্রায় ১৭০টি দেশ অংশ নেবে বলে আশা করা হচ্ছে। এরপর তৃতীয় সম্মেলন আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে কাতারের দোহায়।
প্রেস সচিব বলেন, ‘রোহিঙ্গারা যে মানবিক সংকটের মুখোমুখি, সেটিকে আন্তর্জাতিক ফোরামে তুলে ধরা সহজ নয়। এজন্য কক্সবাজারের সম্মেলনে প্রায় ৪০টি দেশের প্রতিনিধি, জাতিসংঘের সংস্থা ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠন উপস্থিত থাকবে। সেখানে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধি নিজস্ব অভিজ্ঞতা তুলে ধরার সুযোগ পাবেন।’