সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে দলের নিবন্ধন-সংক্রান্ত রায় ঘোষণার পর ডা. শফিকুর রহমান নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লেখেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন-সংক্রান্ত হাইকোর্টের দেওয়া ন্যায়ভ্রষ্ট রায় আজ প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে চার সদস্যের বেঞ্চ বাতিল ঘোষণা করেছে। মহান রবের দরবারে নতশিরে শুকরিয়া আদায় করি, আলহামদুলিল্লাহ, সুম্মা আলহামদুলিল্লাহ। পরবর্তী প্রক্রিয়া নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সম্পৃক্ত। মহান রবের সাহায্য চাই, আমরা যেন দ্রুতই আমাদের পূর্ণ অধিকার ফিরে পাই। আমিন।’

এদিকে, নিবন্ধন ফিরে পাওয়ার রায়ে সন্তুষ্ট ও উজ্জীবিত জামায়াত। সোমবারের মধ্যে রায়ের সংক্ষিপ্ত অনুলিপি হাতে পেয়ে নির্বাচন কমিশনে যাবে জামায়াত। এ রায়ের আলোকে নিবন্ধন ফিরিয়ে দেয়ার পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের আইনজীবী তৌহিদুল ইসলাম। এ ছাড়া, ‘দাঁড়িপাল্লা’ প্রতীকেই নিবন্ধন হবে কি না, সেই সিদ্ধান্তও ইসি নেবে।
আরো পড়ুন—
২০০৮ সালের ৪ নভেম্বর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে নিবন্ধন দেওয়া হয়। পরের বছর তরিকত ফেডারেশনের তৎকালীন সেক্রেটারি জেনারেল সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরীসহ কয়েকজন জামায়াতের নিবন্ধনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন। ওই রিটের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৩ সালের ১ আগস্ট জামায়াতকে দেওয়া নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে অবৈধ বলে রায় দেন হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চ। একই সঙ্গে আদালত জামায়াতে ইসলামীকে আপিল করারও অনুমোদন দিয়ে সার্টিফিকেট দেন। এরপর ২০১৮ সালের ৭ ডিসেম্বর জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হলে জামায়াতে ইসলামী আপিল করে। ২০২৩ সালের ১৯ নভেম্বর আইনজীবী উপস্থিত না থাকায় জামায়াতের আপিল খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ। এরপর ২৮৬ দিন বিলম্ব মার্জনা করে আপিল এবং ২৯৪ দিন বিলম্ব মার্জনা করে লিভ টু আপিল পুনরুজ্জীবিত চেয়ে জামায়াতের পক্ষ থেকে পৃথক আবেদন করা হয়।
গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত শুনানির জন্য নিয়মিত বেঞ্চে পাঠান। পরে ২২ অক্টোবর রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন ফিরে পেতে জামায়াতে ইসলামীর আপিল পুনরুজ্জীবিত করে আদেশ দেন আপিল বিভাগ। এরপর গত বছরের ৩ ডিসেম্বর আপিল শুনানি শুরু হয়।