আজ (বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই) বিকেলে পঞ্চগড়ে পদযাত্রায় এ কথা বলেন তিনি। পদযাত্রায় সহস্রাধিক ছাত্র-জনতা অংশ নেন।
এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, 'আমরা রাজপথ থেকে জানিয়ে দিতে চাই উচ্চকক্ষ ও পিআর নিয়ে এনসিপি এক বিন্দু ছাড় দিবে না। বাংলাদেশের প্রাণ যতদিন থাকবে ভারত বলি, চীন বলি, যুক্তরাষ্ট্র বলি কোনো দেশ বাংলাদেশকে মাথানত করাতে পারবে না। বাংলাদেশের বর্ডার দিয়ে একটি কাকপক্ষিও যদি ঢুকানোর চেষ্টা করা হয় পঞ্চগড়বাসী বর্ডারে গিয়ে নতুনভাবে মানচিত্র তৈরি করবে।'
দলটির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, 'আমরা ভেবেছিলাম নতুন বাংলাদেশে আর চাঁদাবাজি হবে না। কিন্তু চাঁদাবাজি বন্ধ হয়নি। যারা চাঁদাবাজি করছেন, সিন্ডিকেট করছেন আওয়ামী লীগ গেছে যে পদে আপনারাও যাবেন সে পদে। আওয়ামী লীগ ভারতে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছে আপনারা সেটিও পাবেন না। যেই প্রশাসন পুলিশ দিয়ে মধ্যরাতে নির্বাচন হয়েছে সেই প্রশাসন পুলিশের সংস্কার না করে আমরা আর কোন নির্বাচন চাচ্ছি না। বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোকে বলতে চাই আপনারা যেমন টাইমফ্রেম করে নির্বাচন চাচ্ছেন একইভাবে বিচার ও সংস্কারে টাইমফ্রেম দিন।'
ডা. তাসনিম জারা বলেন, 'রাষ্ট্রের পুলিশ বাহিনী ও নিরাপত্তা বাহিনী সবার হয়ে কাজ করবে। কোন দলের কোন পক্ষের হয়ে কাজ করবে না। আমরা এমন ব্যবস্থায় আর ফেরত যাবো না যেখানে রাষ্ট্র ব্যবস্থা নিজেই তার নাগরিককে খুন গুম করে।'
এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক হান্নান মাসউদ বলেন, 'এনসিপি সরকার গঠন করলে দেশের দক্ষিণ ও উত্তরের বৈষম্য দূর করবে।'
দলটির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেন, 'ড্রেজার দিয়ে পাথর উত্তোলন করে পঞ্চগড়ের প্রকৃতি ও পরিবেশকে হুমকিতে ফেলা হচ্ছে। তাদের প্রতিহত করতে হবে। শিক্ষা চিকিৎসা থেকে সব ক্ষেত্রে পঞ্চগড়কে বরাবরই বঞ্চিত করা হয়েছে। অনেক পুলিশ আছে যারা আগে টাকা পরে কথা বলে। অন্যায় দেখলে প্রতিবাদ করতে হবে।'
তিনি বলেন, 'কেউ ভাবেনি হাসিনার মতো ফেরাউনের ৩৬ দিনে পতন হবে। পঞ্চগড়ে হাসিনার চেয়ে বড় ফেরাউন নেই। আমাদের সাহস নিয়ে প্রতিবাদ করতে হবে। পঞ্চগড়ে দুর্নীতি চুরি বাটপাড়ি বন্ধ করতে হবে। আমরা ঝামেলা করতে চাই না। কিন্তু অনেকে মাথায় উঠে গেছে এখন সময় হলো আছার দিয়ে নিচে ফেলে দেয়ার।'
পঞ্চগড়ের সুগার মিল চালু করাসহ নানা উন্নয়নে কথা তুলে ধরে এনসিপিতে যোগ দেয়ার আহ্বান জানান তিনি।