আজ (শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ভোলা সরকারি স্কুল মাঠে তিন দফা দাবিতে আয়োজিত গণসমাবেশে শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
রেজাউল করিম বলেন, ‘বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর দেশের মানুষের সঙ্গে একটি ওয়াদা করেছিলেন। সেই ওয়াদার মধ্যে ছিল সংস্কার, বিচার এর জাতীয় নির্বাচন। আমরা সরকার প্রধানকে বলবো জাতির কাছে মৌলিক সংস্কারের যে ওয়াদা ছিল সেটি বাস্তবায়িত হয়েছে? হয়নি। দৃশ্যমান বিচার হয়েছে? হয়নি। তাহলে তিনি জাতীয় নির্বাচন ঘোষণা কেনো করলেন? এটা তার কাছে আমাদের প্রশ্ন।’
আরও পড়ুন:
তিনি বলেন, ‘মৌলিক সংস্কার ও দৃশ্যমান বিচারের মাধ্যমে যদি নির্বাচনী পরিবেশ তৈরি হয়, তাহলে ফেব্রুয়ারি কেনো আরও আগেও নির্বাচন দিতে পারে। এতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। তবে আমরা নির্বাচনী পরিবেশ চাই।’
জুলাই চেতনা নিয়ে আমাদের বাংলাদেশের এতোগুলো মানুষ জীবন দিয়েছে, পঙ্গু হয়েছে, চক্ষু হারিয়েছে। তাদের এই দেশকে নিয়ে নিশ্চয়ই একটা লক্ষ উদ্দেশ্য ছিল। সেই লক্ষ ও উদ্দেশ্য যদি বাস্তবায়ন না হয় আর গতানুগতিক ধারায় যদি নির্বাচন হয়, তাহলে সেখানে তো ফ্যাসিস্ট ও খুনি তৈরি হবে। আবার ভোট ডাকাতির মতো ঘটনা ঘটবে। আর এ জন্য তো মানুষ জীবন দেয় নাই বলেও জানান তিনি।
মুফতি রেজাউল করিম বলেন, সম্প্রতি ডাকসু নির্বাচন রাজনৈতিক দলের জন্য একটি বড় সিগন্যাল যে, জুলাইয়ের চেতনায় মানুষ কি চায়। সেখানে ছাত্রদলের মতো ঐতিহ্যবাহী একটি সংগঠন এভাবে ধরাশায়ী হবে এটা কেউ কোনো দিন কল্পনাও করেনি। এখানো যদি তারা না বুঝে তাহলে তাদের সামনের ভবিষ্যৎ রাজনীতি অন্ধকার।