রাজধানীর দুই সিটিতে বসছে ১৮টি পশুর হাট, চাঁদাবাজি ঠেকাতে কঠোর প্রশাসন

কোরবানির পশুর হাট
দেশে এখন
বিশেষ প্রতিবেদন
0

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে রাজধানীতে স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলিয়ে ১৮টি কোরবানির পশুর হাট বসাতে যাচ্ছে দুই সিটি করপোরেশন। হাটের কার্যক্রম চলবে ১ জুন থেকে ঈদের দিন পর্যন্ত। এ ছাড়া হাটকেন্দ্রিক চাঁদাবাজি ও অপরাধ ঠেকাতে কঠোর মনোভাব প্রশাসনের। তবে কোনো কোনো হাট আবাসিক এলাকায় বসার অনুমতি পাওয়ায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।

চলছে বিরামহীন কর্মযজ্ঞ। এই ব্যস্ততা জানান দিচ্ছে আর ক'দিন পরই শুরু হতে যাচ্ছে কোরবানির পশুর হাট। তাইতো শেষ সময়ে রোদ বৃষ্টি উপেক্ষা করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে হাট প্রস্তুতের চেষ্টা।

ঈদুল আজহা ঘিরে আগে থেকেই প্রস্তুত করা হচ্ছে পশু বিক্রির হাট-বাজার। এরই মধ্যে হাটের ইজারা দিতে উন্মুক্ত করা হয়েছে দরপত্র। কেউ কেউ সর্বোচ্চ দরপত্র দাখিল করে বুঝে নিয়েছে কয়েকটি হাটের ইজারাও।

|undefined

রাজধানীতে কোরবানির পশুর হাটের প্রস্তুতি চলছে

এ বছর কোরবানি উপলক্ষে স্থায়ী-অস্থায়ী মিলিয়ে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে ১৮টি হাট বসার কথা রয়েছে। 

এর মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটির অধীনে উত্তরা ১৬ ও ১৮ নম্বর সেক্টর, ভাটারা ও মিরপুর-৬ এর ইস্টার্ন হাউজিংয়ের খালি জায়গাসহ ৯টি স্থানে হাট বসবে। 

আর স্থায়ী হাট হিসেবে পশু কেনাবেচা হবে গাবতলীতে। তবে আইনি জটিলতায় এবার মেরাদিয়া ও আফতাব নগরে বসবে না কোন পশুর হাট।

ঢাকা দক্ষিণ সিটির সারুলিয়া, হাজারিবাগ, শ্যামপুরসহ ৯টি স্থানে বসবে পশুর হাট। এসব হাটের বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ইজারাদারদের করা হয়েছে সতর্ক।

ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী ড. জিল্লুর রহমান বলেন, ‘ইজারাদারদের সাথে চুক্তিতেই থাকে যে তাকে এই বর্জ্য পরিষ্কার করে দিতে হবে। আমরা এইটা অপসারণ করতে যত খরচ লাগতে পারে তা আগে থেকেই ইজারাদারদের থেকে নিয়ে রাখি। এরপর তারা যদি এটা অপসরণ না করে আমরা যেন সেটা করতে পারি। তাছাড়া আর্থিক লেনদেনের নিরাপত্তার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে বুথ থাকবে।’

প্রতি বছরের মতো এবারও বেশকিছু আবাসিক এলাকায় হাট বসানোয় অসন্তোষ এলাকাবাসীর মাঝে। তাদের অভিযোগ, রাস্তা আটকে এসব হাট বসায় ব্যাহত হয় যান চলাচল। পাশাপাশি পশুর বর্জ্যে সৃষ্টি হয় ভোগান্তি।

এলাকাবাসীদের মধ্যে একজন বলেন, ‘যখন হাট পুরোপুরি বসে যাবে, তখন এই রাস্তা একেবারে ব্লক হয়ে যাবে।’

এদিকে কোরবানির হাট ঘিরে চাঁদাবাজিসহ অপরাধ রুখতে কঠোর অবস্থান থাকবে সরকার। যেকোনো অপরাধের তথ্য দিতে ২৪ ঘণ্টা হেল্পলাইন নম্বর চালু থাকবে বলে জানান প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী।

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী লে. জেনারেল (অব.) আবদুল হাফিজ বলেন, ‘কেন্দ্রীয়ভাবে মনিটরিংয়ের একটা ব্যবস্থা থাকবে, যেখানে একটা সেল গঠন করা থাকবে, একটা হটলাইন থাকবে। কোনো অবস্থাতেই কেউ যেন চাঁদাবাজির ঘটনা ঘটাতে না পারে সেজন্য তারা কাজ করবে।’

ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ জানায়, কোরবানির হাট ও এর আশপাশে যানজট এড়াতে নেয়া হবে বিশেষ ব্যবস্থা।

ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) মো. সরওয়ার বলেন, ‘আমাদের অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন করা হবে গরুর হাটকেন্দ্রিক, ট্রাফিক ফোর্স, সেই সঙ্গে ক্রাইম ডিভিশনের ফোর্স। এছাড়া হাট ব্যবস্থাপনার জন্য দুই সিটি করপোরেশনের সঙ্গে আমরা সভা করেছি। গরুর হাট ব্যবস্থাপনা অন্যান্যবারের চেয়ে এবার যেন ভালো হয় সেজন্য সবাই মিলে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’

পশুর হাটে অনিয়ম রোধে মোবাইল কোর্ট চালানোর কথাও জানায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

এসএইচ