সর্বাঙ্গে ব্যথা, ওষুধ দিব কোথা! বাংলাদেশ ক্রিকেটের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িয়ে গেছে প্রবাদটা। মাঠের বাইরে নানা রঙের খেলা আর মাঠে নামলে যেন সবাই ভুলে যাচ্ছে মূল কাজটাই। ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং, সব বিভাগেই দুর্বলতা। দেশের ক্রিকেট যেন চলেছে উদ্ভট উটের পিঠে চড়ে।
লিটন-হৃদয়রা যেন ব্যাট চালাতে ভুলে গেছেন। এত বছর ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেও টি-টোয়েন্টির ধরনটাই বুঝে উঠতে পারছে না বাংলাদেশ।
গেল কয়েক বছরে গর্বের জায়গা হয়ে ওঠা পেইস অ্যাটাক হয়ে গেছে নির্বিষ। কাকে রেখে কাকে খেলাবেন থেকে কাকেই বা খেলাবেন! কী অনাকাঙ্ক্ষিত রূপান্তর! শরিফুল-মোস্তাফিজ যা, হাসান মাহমুদ-তানজিম সাকিবরাও তাই।
ফিল্ডিংয়েও নেই কোনো মনোযোগ। যে যার মত করে হেলাফেলায় ক্যাচ ছাড়ছেন, হাত ফসকে বল চলে যাচ্ছে বাউন্ডারির পথে, সহজ রানআউটের সুযোগও হচ্ছে মিস। আর কত তলানীতে যাবে ক্রিকেট?
এরই মধ্যে র্যাংকিংয়ে ডাবল ডিজিটে পৌঁছে যাওয়া বাংলাদেশ আরো একবার নামছে মুখরক্ষার লড়াইয়ে। গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে দুই ম্যাচে বিধ্বস্ত হওয়ার পর এবার ধবলধোলাই এড়ানোর মিশন। পারবেন কি লিটন দাসরা?
শেষ ম্যাচের আগে ইনজুরিতে ছিটকে গেছেন শরিফুল। তিন পেসারের একাদশে অভিষেক হতে পারে খালেদ আহমেদের। একাদশে দেখা যেতে পারে নাজমুল শান্তকেও। পরিবর্তনে যদি কপালটা খুলে আর কি!
পাকিস্তান ছন্দে ফিরেছে। সদ্যই পিএসএল শেষ করে আসা ব্যাটার-বোলাররা ছন্দ ধরে রেখেছেন। এরই মধ্যে সিরিজ জিতে নেয়া স্বাগতিকরা উইনিং কম্বিনেশন ভাঙতে পারে। ফিরতে পারেন নাসিম শাহ, আব্বাস আফ্রিদিরা।
রানপ্রসবা গাদ্দাফি স্টেডিয়ামের নতুন পিচে খেলা হবে আজ। আবহাওয়াও থাকবে খেলার অনুকূলে, বৃষ্টিপাতের কোনোই সম্ভাবনা নেই। মান বাঁচাতে বাংলাদেশকে মনোযোগ দিতে হবে শুধুই মাঠের ক্রিকেটে।