এক ঐতিহাসিক রাতের প্রস্তুতি নিচ্ছে পুরো আর্জেন্টিনা। ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে আর্জেন্টিনার হয়ে নিজের ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ খেলতে যাচ্ছেন মেসি।
অনেক ফুটবল ভক্তরা মনে করেন, আকাশী নীল জার্সিতে আজীবন খেলবেন মেসি। তবে ভক্তদের জন্য নির্মম সত্য এটাই যে, ক্যারিয়ারের পড়ন্ত বেলায় লিওনেল মেসি। নিজ ঘরে শেষ ম্যাচ খেলার ব্যাপারে বেশ আবেগপ্রবণ এলএম-১০।
লিওনেল মেসি বলেন, ‘আমি জানি না ভেনেজুয়েলার পরে প্রীতি ম্যাচ হবে নাকি আরও ম্যাচ হবে, তবে এটি একটি বিশেষ ম্যাচ। তাই আমার পরিবার আমার সঙ্গে থাকবে। আমার স্ত্রী, সন্তান, বাবা-মা, ভাই-বোন সবাই থাকবেন। আমি জানি না এরপর কী হবে, তবে আমরা মুহূর্তটা উপভোগ করতে চাই। কেউ জানে না ভবিষ্যতে কী অপেক্ষা করছে।’
২০০৮ সালে ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে গোল করার শুরু। ঘরের মাঠ কিংবা বৈশ্বিক আসর সবখানেই নিজের জাত চিনিয়েছেন ম্যারাডোনার সবচেয়ে প্রিয় শিষ্য। আকাশী নীলের ক্যানভাসে নিজেকে নিয়ে গেছেন ফুটবল অমরত্বের শীর্ষে।
বাংলাদেশ সময় আগামীকাল (শুক্রবার, ৫ সেপ্টেম্বর) সকালে মাঠে নামবে টিম আর্জেন্টিনা। দেশের মাঠে শেষ ম্যাচে নিজের পরিবারের সামনে এক কঠিন আবেগঘন মুহূর্তের সাক্ষী হতে যাচ্ছেন বিশ্ব ফুটবলের অন্যতম কাণ্ডারী।
রেকর্ড ৮ বারের ব্যালন ডি-অর বিজয়ী লিওনেল মেসি, তিনবার জিতেছেন ফিফা বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের খেতাব। এছাড়াও জিতেছেন ৬ বার ইউরোপীয় গোল্ডেন বুট ও ফিফা বিশ্বকাপ গোল্ডেন বল।
আরও পড়ুন:
২০২২ সালে আর্জেন্টিনাকে উপহার দিয়েছেন বহু আকাঙ্ক্ষিত তৃতীয় বিশ্বকাপ শিরোপার স্বাদ। হাজারো অর্জনে যার ট্রফি কেস ভর্তি সেই মেসিকে তার আকাশী নীল জার্সিতে ঘরের মাঠে বরণ করতে বুয়েন্স এইরিসে প্রস্তুত ৮৫ হাজার দর্শক।
আর্জেন্টিনার কোচ স্কালোনিও মেসির ব্যাপারে বলতে গিয়ে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন।
লিওনেল স্কালোনি বলেন, ‘আমাদের এই মুহূর্তটা উপভোগ করতে হবে। আমি নিজে সবচেয়ে বেশি উপভোগ করবো তাকে কোচিং করাতে পারাটা আমার জন্য বিশেষ সম্মানের বিষয়। আশা করি স্টেডিয়ামে তার ভক্তরা তাকে প্রাণ ভরে উপভোগ করবেন।’
আর্জেন্টিনার জার্সিতে ১৯৩ ম্যাচে গোল করেছেন ১১২টি। ঘরের মাঠে শেষ ম্যাচ খেললেও তার নামের পাশে আজীবন জ্বলজ্বল করবে বিশ্বকাপ, দু’টি কোপা আমেরিকা ও ফিনালিসিমার শিরোপা।
ফুটবল মহানায়কের ক্যারিয়ারের হার না মানা গল্পের ইতিটাও হয়তো হয়ে থাকবে বিশেষ আয়োজনে মোড়ানো। পুরো আর্জেন্টিনা মাতবে মেসি ধ্বনিতে, আর ফুটবল বিশ্ব দেখবে এক বর্ণিল বিদায়।