মৌসুমের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের রেকর্ড নিয়ে পানিতে ভাসছে দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের জেলা ফেনী। উজানের ঢলে ফেনীর মুহুরি, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর পানি বেড়ে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের অন্তত ১৫টি স্থানে দেখা দিয়েছে ভাঙন।
ফেনী-পরশুরাম-ফুলগাজী সড়কে বন্ধ রয়েছে যান চলাচল। প্লাবিত হয়েছে ৩০টির বেশি গ্রাম। এতে বিপাকে পড়েছেন দুর্গত এলাকার হাজার হাজার মানুষ।
স্থানীয় ভুক্তভোগীরা জানান, পানির নিচে তলিয়ে গেছে তাদের ঘরবাড়ি, ভেসে গেছে পুকুরের মাছ। রাস্তাঘাট পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় তাদের চলাচলেও তৈরি হয়েছে ভোগান্তি।
তারা আরো জানান, এরকম পরিস্থিতি মোকাবিলায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকেও কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি।
ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) ভারপ্রাপ্ত উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. আবুল কাশেম বলেন, ‘বন্যার পানি এখনো বিপৎসীমার ৬০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এখন পর্যন্ত প্রায় ১৫টির মতো বাঁধ ভাঙা আমরা রেকর্ড করেছি।’
অন্যদিকে, টানা বর্ষণ ও দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় নোয়াখালীতে বন্যা পরিস্থিতির শঙ্কা দেখা দিয়েছে। দু’দিনের টানা বৃষ্টিতে তলিয়ে আছে পৌর এলাকার বেশিরভাগ সড়ক। বৈরী আবহাওয়ায় ৫ উপজেলার সব মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। স্থগিত করা হয়েছে অর্ধ-বার্ষিক ও অভ্যন্তরীণ পরীক্ষা।
স্থানীয়রা জানান, নিচু অঞ্চল হওয়ায় তারা ব্যাপক ভোগান্তিতে রয়েছে।
এছাড়া ভারী বর্ষণে পার্বত্য এলাকায় বিপর্যস্ত জনজীবন। সাঙ্গু ও মাতামুহুরী নদীর পানি বাড়ায় বন্যার আতঙ্কে নিম্নাঞ্চল ও নদীপাড়ের বাসিন্দা।
কয়েকদিন ধরা চলা বৃষ্টিতে কোথাও কোথাও দেখা দিয়েছে পাহাড় ধস। বড় ধরনের ধসের আশঙ্কায় পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসরতরা। সতর্ক করেছে স্থানীয় প্রশাসন।