চার বছরেও শেষ হয়নি রাঙামাটির কুতুকছড়ি সেতুর নির্মাণকাজ

এখন জনপদে
0

দুই দফা মেয়াদ বাড়িয়ে চার বছরেও শেষ হয়নি রাঙামাটির কুতুকছড়ি সেতুর নির্মাণকাজ। অগ্রগতি মোটে ৩২ ভাগ। কাজে ধীরগতির কারণে দুর্ভোগে পাহাড়ের লাখো বাসিন্দা। নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ না হলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তি বাতিল ও জরিমানার হুঁশিয়ারি সড়ক ও জনপথ বিভাগের।

উত্তর ও দক্ষিণ পার্বত্য চট্টগ্রামকে যুক্ত করেছে রাঙামাটি-মানিকছড়ি-খাগড়াছড়ি আঞ্চলিক মহাসড়ক। ব্যবসা-বাণিজ্য, পাহাড়ের কৃষিপণ্য পরিবহনে দৈনিক এ সড়ক ব্যবহার করে লাখো মানুষ।

২০২১ সালে সড়কের গুরুত্বপূর্ণ কুতুকছড়ি বেইলি ব্রিজটি পাথর বোঝাই ট্রাকসহ ভেঙে পড়ে। এর কিছুদিন পর সরদার এন্টারপ্রাইজ ও রাঙামাটি ট্রেডার্স নামে দু'টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করে। গেল জুনে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়। তাতেও কাজ শেষ না হওয়ায় আরও একবছর বাড়ানো হয় প্রকল্পের মেয়াদ। কিন্তু সে সময়ের আর অল্পদিন বাকি থাকলেও সার্বিক অগ্রগতি মাত্র ৩২ ভাগ।

নির্মাণকাজের ধীরগতি, বিকল্প সড়ক ও ঝুঁকিপূর্ণ সেতুতে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। ব্যাহত স্বাভাবিক যাতায়াত, মৌসুমি ফল ও কৃষিপণ্য পরিবহণ।

সড়ক ব্যবহারকারী একজন বলেন, ‘ ভাঙা এই রাস্তা মেডিকেল টিম বা রোগীদের যাতায়াতের জন্য খুবই কষ্টকর।’

আরেকজন বলেন, ‘বিকল্প যে রাস্তাটি তৈরি হয়েছে সেটাতেও পানি ওঠে। তখন আমাদের চলতে অসুবিধা হয় এবং অনেকসময় দুর্ঘটনাও ঘটে।’

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের দাবি, জমি অধিগ্রহণ জটিলতা ও নদীতে পানি থাকায় নির্মাণকাজ ব্যাহত হচ্ছে। তবে, বর্ধিত সময়ের মধ্যেই প্রকল্পের কাজ শেষের আশা।

মেসার্স রাঙামাটি ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী নিজাম উদ্দিন মিশু বলেন, ‘আমাদের জমিজমা সংক্রান্ত কিছু জটিলতা ছিল, তবে এখন আমরা দ্রুতগতিতে কাজ এগিয়ে নিচ্ছি। আশা করছি সময়ের মধ্যেই কাজ শেষ করতে পারবো।’

এদিকে, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ না হলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে চুক্তি বাতিলসহ আর্থিক জরিমানার হুঁশিয়ারি সড়ক ও জনপথ কর্তৃপক্ষের।

রাঙামাটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সবুজ চাকমা বলেন, ‘তাদের কাজ শেষ করার মেয়াদ আছে জুলাই ২০২৫ পর্যন্ত, এর মধ্যে কাজ শেষ করতে না পারলে আমরা চুক্তির শর্ত অনুযায়ী তাদের সাথে চুক্তি বাতিল বা জরিমানা করার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে সুপারিশ করবো।’

৮১ দশমিক ৩১৫ মিটার দীর্ঘ কুতুকছড়ি সেতুর নির্মাণ ব্যয় ১৪ কোটি ২৯ লাখ টাকা। পাহাড়ে যোগাযোগ, পর্যটন ও কৃষি বাণিজ্যের গতি বাড়াতে দ্রুত সেতুটির কাজ শেষ করার দাবি স্থানীয়দের।

এএইচ