বগুড়ার শাহজাহানপুরের খাউড়াজান বিল এলাকার বিস্তীর্ণ ফসলি মাঠ। এর মাঝেই দেদারসে চলছে মাটি কাটার কাজ। এতে নষ্ট হচ্ছে ফসলের জমি, বিভিন্ন দপ্তরের ধরনা দিয়েও মিলছে না প্রতিকার।
চাষিদের অভিযোগ, গভীর রাতে ভেকু মেশিন দিয়ে এসব মাটি কেটে নিয়ে যাওয়া হয় ইটভাটায়। মাটি কাটার এই কার্যক্রমের সাথে জড়িত স্থানীয় প্রভাবশালী মহল। এ বিষয়ে সরকারি বিভিন্ন দপ্তর, রাজনৈতিক নেতা আর জনপ্রতিনিধিদের কাছে অভিযোগ দিয়েও মেলেনি সমাধান।
এদিকে ইটভাটা সংশ্লিষ্টদের দাবি, ফসলি জমির উর্বর মাটি ইট তৈরির খুবই গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। তবে নিয়ম মেনেই চলছে এই মাটি সংগ্রহ কার্যক্রম। প্রয়োজনে ইটভাটার জন্য নির্দিষ্ট এলাকা নির্ধারণ ও মাটির যোগানে সরকারি সিদ্ধান্ত মেনে ভাটা পরিচালনা করতে চান বলে জানান তারা।
পরিবেশ অধিদপ্তর জানায়, আধুনিক ইটভাটাগুলো চলছে নিয়ম না মেনেই। অবৈধ ভাটা উচ্ছেদে চলছে অভিযান অব্যাহত আছে। আর ফসলি মাঠের মাটি কাটা বন্ধে শক্ত নীতিমালা চায় কৃষি বিভাগ।
বগুড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা একেএম মফিদুল ইসলাম বলেন, 'এটার জন্য একটা শক্ত নীতিমালা দরকার। আমরা সরকারের কাছে এ বিষয়ে লিখি যেন একটা নীতিমালা হয় এবং সেই নীতিমালার বাস্তবায়ন হয়।'
রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক আহসান হাবীব বলেন, 'আমরা প্রতিনিয়ত অভিযান চালাচ্ছি এবং চেষ্টা করছি ইটভাটাগুলো ভেঙে ফেলার জন্য। ইটভাটার বিকল্প হিসেবে ব্লক তৈরিতে উৎসাহিত করা হচ্ছে।'
বগুড়া জেলায় গড়ে ওঠা দেড় শতাধিক ইটভাটার মধ্যে চলতি বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ভাঙা হয়েছে মোট ৬টি ভাটা।